জিএসটি-র হার নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য রাহুলের, বিপাকে কংগ্রেস
শুক্রবারই ২২৭টির মধ্যে ১৭৮টি পণ্যের ওপর থেকে জিএসটি-র হার কমানোর কথা ঘোষণা করে জিএসটি কাউন্সিল। ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে সেগুলিকে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। জিএসটি কাউন্সিলের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার মুখ খুললেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ``২০১৯-এ ক্ষমতায় এলেই আমরা দেশে প্রকৃত এক কর নীতি চালু করব। ৫টি স্তরে নয়, সমস্ত পণ্যের ওপর ফ্ল্যাট ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি ধার্য করব আমরা।`` তাঁর এহেন মন্তব্যে ফের একবার রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : শুক্রবারই ২২৭টির মধ্যে ১৭৮টি পণ্যের ওপর থেকে জিএসটি-র হার কমানোর কথা ঘোষণা করে জিএসটি কাউন্সিল। ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে সেগুলিকে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। জিএসটি কাউন্সিলের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার মুখ খুললেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ''২০১৯-এ ক্ষমতায় এলেই আমরা দেশে প্রকৃত এক কর নীতি চালু করব। ৫টি স্তরে নয়, সমস্ত পণ্যের ওপর ফ্ল্যাট ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি ধার্য করব আমরা।'' তাঁর এহেন মন্তব্যে ফের একবার রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
রাহুলের কথায়, ''গব্বর সিং ট্যাক্স(জিএসটি-কে বিদ্রুপ করে বলেন রাহুল) দেশ থেকে মুছে ফেলে প্রকৃত অর্থে এক কর নীতি চালু করার প্রয়োজন রয়েছে। বিজেপি যদি সেই কাজ না করে, তবে ২০১৯-এ ক্ষমতায় এসে আমরাই তা করব।'' কংগ্রেস সহ-সভাপতি বলেন, ''কেন্দ্র জিএসটি হার কমিনোর সিদ্ধান্ত নিলেও, আমরা তাতে খুশি নই। দেশে পাঁচটি আলাদা আলাদা করের স্তর থাকার প্রয়োজন নেই।''
আরও পড়ুন- এক নজরে দেখে নিন কোন কোন জিনিসের দাম কমল জিএসটি হারের পরিবর্তনে
ডিসেম্বরে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। তার আগে নির্বাচনী প্রচারে শনিবার গান্ধীনগরে সভা করেন রাহুল। সেখানে মূলত জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রকে বেঁধেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, ''শুরু থেকেই মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলি ছিল জিএসটি-র সর্বোচ্চ স্তরে(২৮ শতাংশ) রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মূলত কংগ্রেস ও সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের মুখে বাধ্য হয়েছে করের হার কমিয়েছে কেন্দ্র।'' জিএসটি-র পাশাপাশি নোট বাতিল ইস্যুতেও তাঁর নিশানায় ছিল শাসকদল।
রাহুলের এই মন্তব্যে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীমহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, যে সব পণ্যে এখন ১৮ শতাংশের কম জিএসটি ধার্য রয়েছে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সেগুলির দাম কি তাহলে বেড়ে যাবে? নাকি শুধুমাত্র ২৮ শতাংশ হারে ধার্য করের স্তর কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হবে। যদিও, কংগ্রেসের তরফে এর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।