নিজস্ব প্রতিবেদন: ইচ্ছাকৃত ভুল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত তাঁর। নোটবন্দি নিয়ে মোদীকে বিঁধলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার রাহুল বলেন, “নোটবন্দি একটা বড় দুর্নীতি ছাড়া কিছুই নয়।” নোটবন্দিকে রাহুল শুধু ভুল বলে ব্যাখ্যা করেননি, এই পদক্ষেপ ইচ্ছাকৃত ভাবে করে দেশের নাগরিককে শেষ মোদী করে দিতে চেয়েছেন বলে জানান তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- 


বুধবার দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক নোটবন্দি নিয়ে সরকারিভাবে তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায়, প্রায় ৯৯.৩০ শতাংশ বাতিল নোট রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘরে জমা পড়েছে। অর্থাত্ ১৫.৩১ লক্ষ কোটি টাকা ফেরত্ এসেছে। বাকি যত্সামান্য পরিমাণ (১০,৭২০ কোটি টাকা) টাকা যে পাওয়া যায়নি, তা কালো বা জাল টাকা বলে চিহ্নিত করা যায়নি। নেপাল কিংবা ভুটানে এই টাকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর মোদীর বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে সমালোচনায় নেমে পড়ে বিরোধীরা। এই রিপোর্ট বিজেপিকে যে অস্বস্তিতে ফেলেছে নিঃসন্দেহে বলা যায়। এ দিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইটে মোদীর এই পদক্ষেপকে সমালোচনা করেন।


আরও পড়ুন- দেশের সব থেকে 'মিষ্টি কুকুর', মৃত্যুকে হারিয়ে সেরা পিঙ্কি


জানা যাচ্ছে, নোটবন্দির পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে কেন্দ্রের। এমনকি দেশের অভ্যন্তরীণ বৃদ্ধির হারও কমেছে। দেশের অর্থনীতির ক্ষতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল গান্ধী। দেশের অর্থনীতির যে অপূরণীয় ক্ষতি করেছেন মোদী, তার জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হলে বলে জানান রাহুল। তিনি বলেন, “আপনাদের পকেট থেকে টাকা নিয়ে তাঁর বন্ধু শিল্পপতিদের বিলিয়েছেন।”


আরও পড়ুন- ‘ফাঁসানো হচ্ছে আমাদের, ভরসা আছে আইনে’ বললেন গৃহবন্দি ভারাভারা


নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি অমিত শাহকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাহুল। নোটবন্দি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাহুল বলেন, “ধরে নিন গুজরাতের এক সমবায় ব্যাঙ্ক যার ডিরেক্টর অমিত শাহ, সেই ব্যাঙ্ক নোটবন্দির সময় ৭০০ কোটি টাকা সাদা করে দেয়। এটা জুমলা না বলে দুর্নীতি বলতে হবে।”  রাফাল নিয়ে এদিন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাহুল।