নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেসের সহ-সভাপতির ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে সৃষ্টি হল নয়া বিতর্ক। সোমনাথ মন্দিরে ঢোকার সময়ে 'অহিন্দু' হিসাবে নিজের নাম লিখিয়েছেন রাহুল গান্ধী, এমনটাই খবর। ভিজিটর রেজিস্টারে নিজের হাতে সেই নাম লিখেছেন কংগ্রেসের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর মনোজ ত্যাগী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে রেজিস্টারে নাম লিখতে হয় অহিন্দুদের। হিন্দুদের জন্য এমন কোনও নিয়ম নেই। সেই রেজিস্টারেই রাহুলের হয়ে নাম লেখেন মনোজ ত্যাগী। কংগ্রেস সহ-সভাপতির সঙ্গে মন্দিরে গিয়েছিলেন সনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলও। রাহুল ছাড়াও রেজিস্টারে রয়েছে আহমেদ প্যাটেলেরও। তবে রাহুলের নামের পাশে তাঁর স্বাক্ষর নেই, এমনটাও জানা যাচ্ছে। বিতর্কের পরই সোমনাথ মন্দিরের রেজিস্টার দেখতে ছুটে যান স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা। তবে ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সমর্থকরা তার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিয়েছে রেজিস্টারের সেই বিশেষ অংশটি।  



আরও পড়ুন- চা বিক্রি করেছি ঠিকই, কিন্তু তা বলে দেশকে বিক্রি করছি না: মোদী


ইদানীং মন্দিরে মন্দিরে ঘুরছেন রাহুল গান্ধী। নিজেকে শিবভক্ত বলেও দাবি করেছেন তিনি। আর এসবই নাকি ধর্মীয় ভাবাবেগ কাজে লাগিয়ে ভোটের রাজনীতি করার চেষ্টা, বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এরমধ্যে আবার কংগ্রেসের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুজরাটে নরম হিন্দুত্বকে ব্যবহার করার কৌশল নিয়েছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। আর এসবই নাকি সেই কৌশলের অংশ। 


আরও পড়ুন- মহিলাদের টয়লেটে ঢুকে পড়লেন রাহুল গান্ধী!


তবে রাহুলকে এত সহজে জমি ছেড়ে দিতে নারাজ নরেন্দ্র মোদীর দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় টিপ্পনি তো রয়েইছে, রাহুলের ধর্মীয় পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। সুব্রহ্মণ্যম স্বামী খোঁচা দিয়েছিলেন, ''আগে নিজেকে হিন্দু হিসেবে ঘোষণা করুক রাহুল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ১০ জনপথে একটি গির্জা রয়েছে। আর রাহুল গান্ধী খ্রিষ্টান।''