পোঙ্গল নিয়ে রাজনীতি! জাল্লিকাট্টু দেখে রাহুল গান্ধীর প্রতিজ্ঞা, `তামিল সংস্কৃতি রক্ষা করব`
বাংলার মতোই অবস্থা এখন তামিলনাড়ুতেও। সেখানেও তো বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তাই তামিল সংস্কৃতির উত্সবের আবহেও রাজনীতির গন্ধ ছড়িয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- বিবেকানন্দের জন্মদিন ঘিরে বাংলায় রাজনৈতিক দলগুলির একের পর এক কর্মসূচি হয়েছে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মণীষীদের ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ। বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন উত্সব ঘিরে রাজনীতির আবহ গড়ে তোলাটাই দস্তুর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই বাতাবরণ পছন্দ হোক বা না হোক, সাধারণ মানুষ কার্যত এই পরিস্থিতির মধ্যে মানিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। বাংলার মতোই অবস্থা এখন তামিলনাড়ুতেও। সেখানেও তো বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তাই তামিল সংস্কৃতির উত্সবের আবহেও রাজনীতির গন্ধ ছড়িয়েছে।
জয়ললিতা ও করুণানিধির মতো মুখ এবার নেই। তাই তামিলনাড়ুর সাধারণ মানুষের মন ভোলাতে রাজনৈতিক দলগুলি উপহারের ঝুলি নিয়ে হাজির। পোঙ্গলের মাঝে এই উপহারের ডালি সাধারণ মানুষের মন জিততে পারে বলেই মনে করছে একের পর এক রাজনৈতিক দল। শাসক দল এআইএডিএমকে জানিয়েছে, পোঙ্গলের শুভমুহূর্তে তামিলনাড়ুর প্রতিটি পরিবারকে নগদ আড়াই হাজার টাকা, আখ, একটি জামা ও শাড়ি দেওয়া হবে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী বিজয়ভাস্কর এই সব উপহার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করেছেন। এরই মধ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda) আজ বিকেলে তিরুবলুর পৌঁছবেন। পোঙ্গলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন- দেশের সুরক্ষায় সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ, 83 LCA Tejas আসছে Indian Airforce-এ
ইতালিতে দিদার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ইতালি থেকে ফিরেই তিনি গিয়েছেন মাদুরাই। সেখানে তামিল সংস্কৃতির অঙ্গ জাল্লিকাট্টু দেখলেন তিনি। কংগ্রেস শিবির বারবার বলছে, রাহুলের এই সফর অরাজনৈতিক। তবে রাজনৈতিক মহল তা মানতে নারাজ। পোঙ্গলকে কেন্দ্র করে যে দক্ষিণের এই রাজ্য়ে রাজনীতির আবর্ত তৈরি হয়েছে তা অস্বীকার করার জায়গাও নেই। এদিন জাল্লিকাট্টু দেখার পর রাহুল গান্ধী বলেছেন, ''তামিল সংস্কৃতি, ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। ভাল লাগল। জাল্লিকাট্টু আয়োজনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তামিল ভাষা, সংস্কৃতি দেশে ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তামিলদের আলাদা করে রাখা যাবে না। আমি তামিল ভাষা, সংস্কৃতির রক্ষা করব।'' ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট জাল্লিকাট্টু আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তামিলনাড়ু সরকার এই খেলাকে তামিল সংস্কৃতির অঙ্গ বলে সওয়াল করে। পরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর পর ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসও জানায়, ক্ষমতায় এলে তারা জাল্লিকাট্টু নিষিদ্ধ করবে।