নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রত্যাশামতো কোনও অঘটন ঘটেনি। সোমবার, সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দিল্লির ২৪ আকবর রোডের কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয়ে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিন রাহুলের সঙ্গে ছিলেন মনমোহন সিং, আহমেদ প্যাটেল, শিলা দীক্ষিত সহ একাধিক শীর্ষ নেতারা। কংগ্রেসের আর কোনও নেতা রাহুলকে চ্যালেঞ্জ করে মনোনয়ন জমা দেয়নি বলে জানা যাচ্ছে। আজকেই ছিল মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিনের শেষেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, সোনিয়া গান্ধীর পর কংগ্রেসের মাথার উপর কে বসছেন। এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত সভাপতিই হচ্ছেন সোনিয়া-পুত্র রাহুলই। প্রায় ৫ বছর সহ-সভাপতি পদে থেকেছেন রাহুল গান্ধী। এদিন রাহুলের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর শুভেচ্ছা জানান কংগ্রেসের প্রায় সব নেতারাই। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া শুভেচ্ছা জানানোর পাশপাশি 'পরিবারতন্ত্র' নিয়ে বিজেপির অভিযোগকে খারিজ করে বলেন, "এই সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এ বিষয়ে নাক না গলানোই ভাল। যে কেউ মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন। গণতান্ত্রিকভাবেই এই প্রক্রিয়া চলছে।" পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানান, রাহুল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় কংগ্রেসের সবাই খুশি। বিজেপির সহ-সভাপতি তথা সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি কটাক্ষের সুরে রাহুলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, বিনা পারফরম্যান্সে প্রোমোশন রাহুলের।



তবে, কংগ্রেস নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা এদিন ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "এটি ননসেন্স কাজ হতে চলেছে।" এর আগে কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র নিয়েই প্রশ্ন তোলেন শেহজাদ। শেহজাদ বলেন, "তুমি নিজেকে বিচার করবে মেরিট দিয়ে, পদবি দিয়ে নয়।"


কংগ্রেস সভাপতি পদে ১৯ বছর ধরে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সোনিয়া গান্ধী। ১৯৯৮-তে সভাপতির দায়িত্ব পান সনিয়া। এখন সেই ব্যাটনই 'প্রথাগতভাবে' তুলে দিচ্ছেন 'রাজপুত্র' রাহুলকে।