নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে ‘বাকযুদ্ধ’ অব্যাহত সেখানকার রাজ্যপাল সত্য পাল মালিকের সঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। কাশ্মীরে হিংসার খবর মিলছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল। জবাবে সত্য পাল মালিক জানান, বিমান পাঠিয়ে দিচ্ছি, ঘুরে দেখা যান কাশ্মীর। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ফের রাহুল জানান, বিমানে নয় জম্মু-কাশ্মীরে অবাধে ঘোরার স্বাধীনতা দিন। আজ নতুন করে টুইটে রাহুল গান্ধী লেখেন, জম্মু-কাশ্মীরে আসার আমন্ত্রণ গ্রহণ করলাম। কোনও শর্ত ছাড়াই স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলতে চাই। কবে আসব জানান!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সুপ্রিম কোর্টে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, সর্বক্ষণ নজরে রাখা হচ্ছে সেখানকার পরিস্থিতি। দ্রুত স্বাভাবিক হবে আশা করা যাচ্ছে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই জন্যেই জম্মু-কাশ্মীরে এত নিরাপত্তা। এ প্রসঙ্গে ২০১৬ সালে বুরহান ওয়ানির মৃত্যু নিয়ে উত্তপ্ত কাশ্মীরের উদাহরণ টেনে আনেন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল। সে সময় বিক্ষোভের জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৪০ জনের। কেন্দ্রের দাবি, ৩৭০ বিলোপের পর এখনও পর্যন্ত বড় কোনও অশান্তির খবর মেলেনি। একটি বুলেটও খরচ করতে হয়নি নিরাপত্তারক্ষীকে। অর্থাত্ মোটের উপর শান্তিপূর্ণ রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। উল্লেখ্য, আজ জম্মুতে সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। কাশ্মীরের বেশ কিছু জায়গায় এখনও বলবত্ রয়েছে।



আরও পড়ুন- জম্মুতে সব ধরনের বিধিনিষেধ উঠলেও এখনও কড়া পাহারায় কাশ্মীর


রাজ্যপাল সত্য পাল মালিকও দাবি করেন, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। এখনও পর্যন্ত কোনও গুলি চালনার খবর মেলেনি। বিরোধীরা এই পরিস্থিতকে ‘কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প’ বলে ব্যাখ্যা করেন। এ প্রসঙ্গে সত্য পালের কটাক্ষ, ৩০ বার জেলে গিয়েছি। ইমার্জেন্সির সময় কংগ্রেস দেড় বছর জেলে বন্দি করে রাখে বিরোধী নেতাদের। তখনও তো ‘কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প’ শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। প্রতিরোধমূলক আটককে কি ‘কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প’ বলা যায়? প্রশ্ন তোলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপালের।