নিজস্ব প্রতিবেদন: সমাজকর্মীদের গ্রেফতার নিয়ে সরব হলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। নরেন্দ্র মোদীর সরকার এবং আরএসএস-এর সমালোচনা করে মঙ্গলবার রাহুল টুইটে জানান, দেশে একটাই এনজিও চলবে। সেটি হল আরএসএস। দেশের সব এনজিও বন্ধ করে দাও। যে সব সমাজকর্মীরা বিরোধিতা করবে তাদের গুলি করে মারো। এমন নতুন ভারতে আপানাদের স্বাগত। এই মন্তব্যের সঙ্গে হ্যাজট্যাগ ভীমাকোরেগাঁও শব্দটিও জুড়ে দেন রাহুল।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন  জায়গা থেকে মাওবাদী যোগ এবং ভীমা কোরেগাঁও হিংসার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পাঁচ বিশিষ্ট সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিস। তাঁদের আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন  (ইউএপিএ) আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই পাঁচ জনের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট কবি ভারাভারা রাও। প্রসঙ্গত, গত জুনে মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁওতে দলিত বিজয়দিবস অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উচ্চ বর্ণের মারাঠাদের সঙ্গে দলিতদের সংঘর্ষ বাধে। উত্তপ্ত হয় মহারাষ্ট্র। এই ঘটনায় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে সুধীর ধবলে, সুরেন্দ্র গদলিং, মহেশ রাউত, রোনা উইলসন এবং সোমা সেনকে গ্রেফতার করে পুলিস। এর মধ্যে উইলসনের বিরুদ্ধেও প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বাড়ি থেকে এমনই হত্যার ছক কষার একটি চিঠি উদ্ধার করে বলে দাবি পুলিসের। মঙ্গলবার ভারাভারা রাও-সহ আরও চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।


আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে ভারভারা-সহ ৫ সমাজকর্মীর গ্রেফতারি


তবে, কংগ্রেস সভাপতির সমালোচনায় পাল্টা সরব হয় বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজেজু রাহুলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, যেখানে দেশের অভ্যন্তরীণ অখণ্ডতার প্রশ্ন, সেখানে তাঁর রাজনীতি করা উচিত শোভা পায় না। এমনকি রাহুলকে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মাওবাদীদেরই দেশের সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরে  বিপদ বলে চিহ্নিত করেছেন। অথচ এখন কংগ্রেস সভাপতি খুল্লামখুল্লা মাওবাদীদের সমর্থন করছেন বলে তাঁর অভিযোগ! রাজনীতির উপরে দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখা উচিত বলে দাবি করেন এই বিজেপি নেতা।


আরও পড়ুন- ইউএপিএ-তে অভিযুক্ত কবি-লেখক-সমাজকর্মীরা, কী এই ইউএপিএ?



তবে, ৭৮ বছর বয়সী ভারাভারা-সহ বিশিষ্ট জনদের গ্রেফতারে সরব হয়েছেন লেখক অরুন্ধতী রায়, রামচন্দ্র গুহ প্রমুখ। অরুন্ধতী সমালোচনা করে বলেন, “যারা দিনের আলোয় গণপিটুনি, নাশকতার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাদের বাড়ি তল্লাসি চালাক পুলিস। তা না করে তাদের নিয়ে গর্ব করা হচ্ছে। যাঁরা প্রতিবাদে সরব হয়ে মুখ খুলেছেন বা হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠের সমালোচনা করেছেন তাঁদের 'দুষ্কৃতি' বলে দেগে দেওয়া হয়েছে। যা ঘটছে, তা দেশের জন্য বিপজ্জনক।”