নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের প্রায় সব বড় প্রতিষ্ঠানের শেয়ার সূচক নিম্নগামী। এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় সংস্থাগুলির দখল না নিতে পারে, সে বিষয়ে সরকারের নজর রাখা উচিত্। রবিবার এইচডিএফসি-তে চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির পরেই সরকারের উদ্দেশ্যে টুইট করে সতর্কবার্তা দিলেন রাহুল গান্ধী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন টুইটারে রাহুল লেখেন, "দেশের মন্থর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠানতে দূর্বল করে দিয়েছে। ফলে সেগুলিতে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য লোভনীয় লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। দেশের এমন সংকটের সময়ে সরকার যেন কোনও মতেই ভারতীয় সংস্থাগুলিতে বিদেশি হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণের সুযোগ না দেয়।"



প্রসঙ্গত রবিবারই পিপলস ব্যাঙ্ক অফ চায়না হাউসিং ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স কর্পোরেশন (HDFC)-র ১.০১ শতাংশ অংশীদারিত্ব কিনে নেয়। চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এইচডিএফসি-র প্রায় ১.৭৫ কোটি শেয়ার কিনেছে। শেয়ার বাজারে গত কয়েক মাসে এইচডিএফসি-র শেয়ারের দামে পতন হয়েছে। 


দেশের বিভিন্ন বড় প্রতিষ্ঠানেও একইভাবে শেয়ার বাজারে পর্যদুস্ত। করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের ফলে প্রত্যক্ষভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বহু সংস্থা। আর তার প্রভাব পড়ছে শেয়ার বাজারে। 


দেশজুড়ে লকডাউনের প্রভাব যে গোটা অর্থবর্ষ জুড়ে বজায় থাকবে তা জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কও। রবিবার বিশ্ব ব্যাঙ্কের দক্ষিণ এশিয়ার করোনাভাইরাস পরিস্থিতির রিপোর্ট বলছে, চলতি আর্থিক বছর, অর্থাত্ ২০২০-২১-এ ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির  মাত্র ১.৫ শতাংশ থেকে ২.৮ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। তুলনাস্বরূপ ২০১৯-২০ সালে সংখ্যাটা ৪.৮ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। অর্থাত্ বৃদ্ধির হার কম ছিলই। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ, লকডাউন। 


রাহুলের টুইটের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। প্রধানমন্ত্রীর এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন অনেকে। পরবর্তী পর্যায়ে ঘুরে দাঁড়াতে ভারতীয় সংস্থাগুলিতে বিদেশি অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিতে লাগাম টানার সুপারিশ করেছেন অনেকেই।


আরও পড়ুন: লকডাউনে আয় বন্ধ, পাঁচ সন্তানকে নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ মহিলার