নিজস্ব প্রতিবেদন- উত্তরপ্রদেশের হাথরসে দলিত মেয়ের গণধর্ষণ কাণ্ড গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। যোগী আদিত্যনাথের সরকার এখন বিরোধীদের নিশানায়। তবে প্রশ্ন উঠছে, এমন পৈশাচিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে না তো! এরই মধ্যে কংগ্রেসের মহাসচিব প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে উত্তরপ্রদেশের হাথরসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাথরসের জেলাশাসক অবশ্য দাবি করেছেন, জেলার সমস্ত সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী গোটা এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। এমন অবস্থায় বাইরের কাউকে গ্রামে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না। বোঝাই যাচ্ছে, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে। 


এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মোকতার আব্বাস নাকভি বলেছেন, ''এমন বর্বরোচিত কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীরা নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে। তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয়, এই মুহূর্তে হাথরসের এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার কোনো মানে হয় না। যারা এই ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিকভাবে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তাদের বিবেক দিয়ে পরিস্থিতির বিবেচনা করতে বলব। এই ঘটনায় দেশের প্রতিটা মানুষ দুঃখিত। আর আমরা সবাই দোষীদের শাস্তি চাই। উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন এই ব্যাপারে কড়া অবস্থান নিয়েছে। আশা করছি, দেশের মানুষ খুব তাড়াতাড়ি দোষীদের শাস্তির খবর পাবে।''


আরও পড়ুন-  ...এই ঘটনা তাদের মুখোশ খুলে দিয়ে গেল! হাথরাস কাণ্ডের নিন্দায় টুইট মুখ্যমন্ত্রীর


রাহুল গান্ধী অবশ্য বিজেপি সরকারের তুলোধনা করতে ছাড়ছেন না। হাথরস কাণ্ডের পর তিনি বলেছিলেন, ''বিজেপির স্লোগান এখন বেটি বাচাও নয়। বরং তথ্য লুকোও, গদি বাঁচাও। উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ চলছে। সেখানে মেয়েদের ওপর অত্যাচার পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। আর সরকারের অপদার্থতা সবার সামনে। বেঁচে থাকতে একটি মেয়ের সম্মান রক্ষা করতে পারল না প্রশাসন। সেই মেয়ের মৃতদেহও যোগী সরকারের অপমান ও অপদার্থতার শিকার হল।''