নিজস্ব প্রতিবেদন : শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে বাড়ি ফেরার জন্য শ্রমিকদের থেকে টিকিটের দাম নেবে রেল। আর সেই টিকিটের টাকা সংগ্রহ করে টিকিট বিক্রির কাজ থাকবে রাজ্য সরকারের ঘাড়ে। অর্থাৎ, টিকিটের দাম নেবে রেল। কিন্তু, পরিযায়ী শ্রমিকদের টিকিট বিক্রি করে টাকা তুলে জমা দেবে রাজ্য সরকার। রেলের এমন নীতিতে বেজায় অসন্তুষ্ট বিরোধী শিবিরে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রেলের নির্দেশিকা অনুযায়ী ফাঁকায় ফাঁকায় যাত্রীদের নিয়ে গেলে সর্বোচ্চ ১২০০ জন শ্রমিক একটি ট্রেনে যাত্রা করতে পারবেন। সেই অনুযায়ী এক রাজ্য থেকে অপর কোন‌ও রাজ্যে যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরবেন, তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে। এরপর সেই তালিকা পাঠালে রেল সেই অনুযায়ী সেই সংখ্যক টিকিট ছাপাবে। সেই টিকিট পৌঁছে দেওয়া হবে স্থানীয় নোডাল অফিসে। স্থানীয় প্রশাসন ট্রেনের ভাড়া সংগ্রহ ও টিকিট বিলির কাজ করবেন। অর্থাৎ শ্রমিকদের থেকে ভাড়া নেওয়ায় অনিচ্ছুক রাজ্য সরকারগুলিকেও টাকা সংগ্রহের কাজ করতে হবে। 


রেলের এই প্রক্রিয়ায় অসন্তোষ তৈরি হয়েছে অ-বিজেপি রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে। ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন এদিন টুইটে বলেন, "পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে আমাদের টিকিটের দাম চাওয়া অনুচিত। কেন্দ্র না করলে ঝাড়খন্ড সরকার‌ই ওদের ট্রেনের ভাড়ার ব্যবস্থা করবে। আমরা কিছুতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে ভাড়া চাইতে পারব না"


গত বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের জন্য স্পেশাল ট্রেনের দাবি তোলে রাজ্যগুলি। রাজ্যগুলির দাবি মেনে স্পেশাল ট্রেন চালানোর গ্রীন সিগনাল দেয় রেল। কিন্তু বিরোধীদের সঙ্গে তরজা তৈরি হয় শ্রমিকদের থেকে টিকিটের দাম নেওয়া নিয়ে। 


লকডাউন পরিস্থিতিতে বহুদিন ধরে আটকে থাকা শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার জন্য শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা রেলের। কিন্তু শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে চড়তে টিকিটের দাম মেটাতে হবে শ্রমিকদের, জানিয়ে দেয় রেল। রেলের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে বিরোধী শিবির। "আর্থিক সংকটে পড়া শ্রমিকদের জন্য কেন বিনামূল্যে ব্যবস্থা নয়?" প্রশ্ন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, "ধনীদের ঋণ মুকুব সম্ভব, কিন্তু দরিদ্র শ্রমিকের টিকিটের দাম কেন সম্ভব নয়?"


 


আরও পড়ুন: ভাঙল সব রেকর্ড! গত ৪ দিনে প্রতি ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১০ জন