নিজস্ব প্রতিবেদন: ভরা বর্ষায় ছুটিতে যাচ্ছে মৌসুমী বায়ু। বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা স্কাইমেট জানাচ্ছে, ১৫ জুলাইয়ের পর দেশজুড়ে কমবে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টিতে বিরাম লাগলেও একেবারে হবে না, এমনটা মানতে নারাজ জাতীয় আবহাওয়া দফতর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এবছর বর্ষা সময়ে এলেও বৃষ্টিপাত সেভাবে হচ্ছে না। মৌসুমী বায়ুর ছুটিতে যাওয়া কোনও বিশেষ প্রাকৃতির বিষয় নয়। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পর এই সময় বৃষ্টিতে একটু বিরাম লাগে। তখন হিমাচল সংলগ্ন এলাকাগুলিতেই টানা বৃষ্টি হয়। কয়েকদিন এভাবে কাটার পর ফিরতি পথে আবার বৃষ্টি শুরু হয়। কিন্তু, এবার পরিস্থিতি আলাদা। 



জুন মাসে দেশজুড়ে বৃষ্টির ঘাটতি ছিল ৩৩ %। জুলাইয়ে পশ্চিম ও মধ্যভারতে ভারী বর্ষা শুরু হয়েছে। ভারী বর্ষার ফলে জুলাইয়ে ঘাটতি নেমে এসেছে ৮ শতাংশে। আকাশের হাল দেখে সাহস করে খারিফ শস্য চাষ শুরু করেছেন  চাষিরা কিন্তু, বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা স্কাইমেট বলছে, ১৫ জুলাই থেকে বর্ষা কমে যাবে। তাতে খারিফ শস্যের উত্‍পাদনে যে খারাপ প্রভাব পড়বে তা বলাই বাহুল্য। এমনিতেই গ্রীষ্মে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ অংশে শুখা চলায় উত্‍পাদন মার খেয়েছে। জুলাইয়ে  বর্ষা কমে গেলে তার প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতেই। 


বর্ষা স্বাভাবিকের কাছাকাছি হবে এই আশা করে বাজেট পেশ হয়েছে। সংস্কারের সাহস দেখিয়েছেন নির্মলা সীতারমন কম বর্ষায় উত্‍পাদন মার খেলে ঋণনীতি কঠোর করতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আরবিআই ঋণে সুদের হার কমালে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে বাজারে
 
বর্ষার মরশুমেই ভরে ওঠে দেশের জলাধারগুলি। সেই জল কাজে লাগে শীতকালে রবিশস্যের সেচেও। এবছর বর্ষা ভাল না হলে, দেশবাসীর পুরো এক বছরের ভোগান্তি। এটা বিলক্ষণ বোঝে সরকার। যদিও জাতীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, জুলাইয়ে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও কমতে পারে। কিন্তু, মৌসুমী ছুটিতে যাচ্ছে এমন দাবি করা বাড়াবাড়ি। সরকারি পূর্বাভাস মিললেই মঙ্গল।


আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশই সার, মুমূর্ষু রোগীকে ফেরাল পাঁচটি সরকারি হাসপাতাল