নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপিকে অনেকটাই পেছনে ফেলে দিলেও কঠিন সমস্যার মুখ্য দাঁড়িয়ে কংগ্রেস। রোগ সেই পুরানো। প্রবীণ বনাম নবীনের লড়াই। অশোক গেহলত নাকি শচীন পাইলট, কে হবেন মরুরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে। বুধবার এই জল্পনার অবসান ঘটাবেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-স্নায়ুর লড়াই শেষ; সরকার গঠনের দাবি জানাব না, জানিয়ে দিলেন শিবরাজ


রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে ১৯৯ আসনের মধ্যে ৯৯ আসন পেয়েছে কংগ্রেস। অর্থাত্ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেল তাদের জোগাড় করতে হবে আরও ২ আসন। ৭৩ আসন গিয়েছে বিজেপির দখলে, অন্যান্যরা পেয়েছে ২১ আসন এবং ৬ আসন পেয়েছে বহুজন সমাজ পার্টি। কংগ্রেস দুটি আসন কোথা থেকে জোগাড় করবে তা যেমন আলোচনার বিষয় তেমনি কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে।


রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান শচীন পাইলট ও সোনিয়ার আস্থাভাজন অশোক গেহলতের ওপরে ভর করেই এবার প্রচার করেছে কংগ্রেস। কিন্তু কাউকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেনি। দুজনেই বলছেন কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন সেই ঘোষণা করবেন রাহুল গান্ধী।


রাজ্যে দলকে চাঙ্গা করতে ও বিজেপির মতো প্রতিদ্বন্দ্বির বিরুদ্ধে লড়তে কঠোর পরিশ্রম করেছেন শচীন পাইলট। পাশাপাশি পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ অশোক গেহলতের একটি নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। একই সঙ্গে তার পুরনো নোটওয়ার্ক এবার নির্বাচনে কাজ করেছে। ফলে তাকেও অবহেলা করতে পারছে না কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।


আরও পড়ুন-প্রয়াত রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হায়দর আজিজ সফি


সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে এই প্রসঙ্গটাই তুলেছিলেন গেহলত। তিনি বলেন. ‘রাজস্থানে তো এবার আমরা জিতব তবে.....’। মনে করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়টাই বলতে চেয়েছিলেন গেহলত। তিনি আরও বলেন, রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান হওয়ার পর শচীনকে বলেছিলাম, ‘কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পরই কিছু লোক তোমাকে পরবর্ত মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে দেবে।‘ এভাবেই শচীনের ওপরে চাপ বাড়িয়ে রেখেছিলেন গেহলত।


একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা গেহলত দিল্লিতেও শিকড় চালিয়েছেন। আস্থা অর্জন করেছেন দশ জনপথেরও। ফলে তাঁকে মাথায় রাখতেই হচ্ছে রাহুলকে। আজ এগারোটায় দলের জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন এআইসিসির প্রতিনিধিরা। সেখানে বিষয়টি ঠিক হয়ে যাবে।