নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের প্রচার করতে গিয়ে আইনি প্যাঁচে পড়ে গেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আইনি নোটিশ এল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন সর্ব ব্রাহ্মণ ধর্মসভা-র কাছ থেকে। তাদের দাবি তিন দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে যোগীকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন ওই নোটিস? বুধবার রাজস্থানের আলওয়ারে প্রচার করছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলেন যোগী। বক্তব্যের মধ্যে তিনি বলেন, ‘হনুমান জঙ্গলে বাস করতেন। তিনি ছিলেন একজন বঞ্চিত ও দলিত। দেশের সব জাতিকে একত্র করতে বজরংওয়ালি বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন।‘


আরও পড়ুন-শান্তিপুর বিষমদকাণ্ডে পুলিসের জালে কিংপিন গণেশ হালদার


যোগী আদিত্যানাথ আরও বলেন, আমাদের উচিত রামভক্তদের ভোট দেওয়া রাবণকে নয়। যারা রাবণের পুজো করেন তারা কংগ্রেসকে ভোট দেবেন। অন্যদিকে, যারা রামের ভক্ত তারা বিজেপিকে সমর্থন করবেন।


হিন্দুত্ববাদী রাজস্থান সর্ব ব্রাহ্মণ মহাসভার বক্তব্য, হনুমান মোটেই দলিত ছিলেন না। দলিত বলে তাঁকে অপমান করা হয়েছে। যিনি লোকদেবতা তিনি কীভাবে বঞ্চিত হন! তিনি পৈতেধারী। তাঁকে কীভাবে দলিত বলা হয়! কোথাও নেই যে হনুমান দলিত ছিলেন।


নেটিসে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হনুমানকে বঞ্চিত ও দলিত বলেছেন, এটা খুবই দুঃখের। তাঁর ওই মন্তব্যে মানুষের আবেগে আঘাত লেগেছে। সস্তা রাজনীতি করার জন্যই এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে।


আরও পড়ুন-তারা খসল বাংলা নাট্যজগতে, চলে গেলেন বিপ্লবকেতন চক্রবর্তী


উল্লেখ্য, ছত্তিসগঢ়েও হনুমানকে দলিত বলে উল্লেখ করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে এক নির্বাচনী প্রচারে তিনি মন্তব্য করেন, হনুমান সবচেয়ে বড় আদিবাসী-বনবাসী। রাম যখন বনবাসে ছিলেন তিনি এলাকার আদিবাসীদের অসুরদের আতঙ্ক থেকে বাঁচিয়েছিলেন।


গোটা বিষয়টি এখন রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজস্থানে। বাধ্য হয়েই মাঠে নামতে হয়েছে বিজেপিকে। দলের নেতারা বলছেন, হনুমানকে দলিত বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে হনুমান দলিত-বঞ্চিতদের একেজাট করেছিলেন। মানুষের বুঝতে ভুল হয়েছে।