নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? অশোক গেহলেত না সচিন পাইলট? মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে চাইছিলেন না দুজনেই। দফায় দফায় বৈঠক করেও কাউকে বিরত করতে পারেননি রাহুল গান্ধী। শেষপর্যন্ত অশোক গেহলতকে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ডেপুটির পদে সচিন পাইলটকে বসিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করলেন কংগ্রেস সভাপতি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ দাবি করে গোঁ ধরে ছিলেন সচিন পাইলট। তাঁর সমর্থকরাও কংগ্রেসের দফতরের সামনে এসে স্লোগান দিয়েছেন। রাহুলের অন্যতম পছন্দের পাত্র সচিন। সচিন পাইলটের যুক্তি ছিল, চারবছরে কংগ্রেসের সংগঠনকে চাঙ্গা করেছেন তিনি। গেহলতের পাঁচ বছরের শাসনে অতিষ্ঠ হয়েই মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। অন্যদিকে অভিজ্ঞতার নিরিখে এগিয়ে ছিলেন অশোক গেহলত। তিনিও মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে নারাজ ছিলেন। দুই নেতার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। 


বৃহস্পতিবার ১০ জনপথে সনিয়া গান্ধীর আবাসে বৈঠকে বসেন প্রিয়াঙ্কা, সনিয়া ও রাহুল। সেখানে সনিয়া ও প্রিয়াঙ্কা অশোক গেহলতের হয়ে সওয়াল করেন বলে সূত্রের খবর। যদিও রাহুল গান্ধী চাইছিলেন নবীন নেতা সচিন পাইলটকে। কিন্তু গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ অশোক গেহলতের ভাগ্যেই শিকে ছিঁড়ল। ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অশোক গেহলত। পরে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর মতো পদ সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে গেহলতের।    


মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়েও নবীন-প্রবীন বিবাদে পড়তে হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। সে রাজ্যে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বাগে এনে কমলনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু জ্যোতিরাদিত্যের সঙ্গে কী সমঝোতা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। 


অনেকেই বলছেন, মুখে তারুণ্যের জয়গান গাইলেও গান্ধী পরিবারে এখনও শিকে ছেঁড়ে বিশ্বস্তদেরই। আর সে জন্য রাজস্থানে দলকে মাটি থেকে তুলে এনেও বঞ্চিত থেকে গেলেন সচিন পাইলট। অন্যদিকে শিবরাজ সিংয়ের চৌহানের বিরুদ্ধে প্রচারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।


আরও পড়ুন- কোথা থেকে এসব ভুলভাল তথ্য জোগাড় করেছিলেন রাহুল, রাফাল নিয়ে জোর বিঁধলেন অমিত শাহ