জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বহুদিন ধরেই বসবাস করছেন। আচমকাই এসে হাজির সরকারি বুলডোজার। ভেঙে গুড়িয়ে দিল বাড়িঘর। মারধর করে বের করে দেওয়া হল ওই এলাকায় ঝুপড়িবাসীদের। বর্তমানে ঘরহারা কয়েকশো পাক হিন্দু শরনার্থী। উপায় না দেখে তারা এখন ধরনায় বসেছেন জেলা শাসকের দফতরের সামনে। তাদের অভিযোগ এখন জেলা শাসক টিনা ডাবির দিকেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় পদক্ষেপ মমতার, কুড়মিদের এই দাবির সঙ্গে সহমত রাজ্য


জয়সলমের শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে অমরসাগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বহুদিন ধরেই বাস করছেন। আচমকাই পুলিস এসে তাদের বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে। আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এমনকি জেলাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করতে গেলে তাদের মহিলাদের মারধর করা হয়েছে। সবকিছুই হয়েছে জেলা শাসক টিনা ডাবির নির্দেশে।


টিনা ডাবির দাবি, অমরসাগর পঞ্চায়েতের সরপঞ্চ ও গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই জায়গা খালি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এইসব শরনার্থীরা বাস করছিলেন সরকারি জমিতে। ওই জায়গা থেকে সরে যাওয়ার জন্য শরনার্থীদের নেটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারা জায়গা ছাড়েনি।  মোট ২৮টি ঝুপড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। ওইসব পাক শরনার্থীরা এখনও ভারতীয় নাগরিকত্ব পাননি। তাদের পুর্বাসনের কোনও আইনও নেই রাজ্যে। গতমাসে যোধপুরে  ২০০ ঘর ভেঙে দেয় যোধপুর ডেভলপমেন্ট বোর্ড। এদের বেশিরভাগই পাক শরনার্থীদের। এনিয়ে পুলিসে তার অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে ৩ জন তাদের ওই জমি বিক্রি করেছে। 


২০১৯ সালে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল(CAA) পাস করিয়েছে মোদী সরকার। সংসদের তা আইনে পরিণতা হয়েছে। কিন্তু এখনওপর্যন্ত এনিয়ে কোনও নোটিফিকেশন জারি করতে পরেনি কেন্দ্র সরকার। ফলে রাজস্থানে বসবাসকারী বহু পাক হিন্দু শরনার্থী ভারতের নাগরিকত্ব পাননি। অনেকেই ফিরেও গিয়েছেন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)