নিজস্ব প্রতিবেদন: সচিন পাইলট-সহ কংগ্রেসের ১৮ বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের নোটিস দেওয়ার পেছনে কোনও রকম যুক্তির ধার ধারেন নিন বিধানসভার স্পিকার। রাজস্থান হাইকোর্টে সচিন পাইলটের পক্ষে সওয়াল করতে উঠে এভাবেই শুরু করলেন বিশিষ্ট আইজীবী মুকুল রোহতগি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কোন ১৩ জন শহিদের স্মরণে পালিত হয় ২১ জুলাই? ২৭ বছর আগে কী ঘটেছিল সেদিন?


দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে সচিন পাইলট ও তার অনুগামীদের বিধায়কপদ খারিজের নোটিস দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার সিপি যোশী। সেই নোটিসের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছেন সচিন। গতকাল এনিয়ে শুনানিতে স্পিকারের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, নোটিস দেওয়া হয়েছে। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভুল বা ঠিক করা অধিকার স্পিকারের রয়েছে তাতে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না।


শুনানির দ্বিতীয় দিনে সচিনের আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন


সচিন ও তাঁর অনুগামীরা দলের দুটি বৈঠকে যাননি। তার পরে তাদের বিধায়কপদ খারিজের যে নোটিস দেওয়া হয়েছে সেখানে অত্যন্ত তাড়াহুড়ে করেছেন স্পিকার। এর পেছনে কোনও কারণ তিনি দেখাননি।


করোনার এই অতিমারির সময়ে সচিন পাইলটদের জবাব দেওয়ার জন্য মাত্র ৩ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।  ফলে কোনও সন্দেহ নেই যে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত আগে নিয়ে তবেই নোটিস দেওয়া হয়েছে।


উল্লেখ্য, সোমবার শুনানিতে সচিনের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, দলের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ মত পোষণ করার অর্থই কি দল বিরোধিতা! এক্ষেত্রে স্পিকার বিধায়কদের বাক স্বাধীনতার বিরোধিতা করছেন না তো!


আরও পড়ুন-রেকর্ড ভাঙতে ভাঙতে যেন হাঁফিয়ে উঠেছে করোনা! এক ধাক্কায় কমল এক দিনের আক্রান্তের হার


এদিকে, পাইলট ও তাঁর অনুগামীরা এখনও দিল্লিতেই বসে রয়েছেন।  অন্যদিকে. ১০৩ জন বিধায়ক নিয়ে রাজ্যের এক রিসর্টে রয়েছেন অশোক গেহলট। এখন  শেষপর্যন্ত সচিন পাইলট ও তাঁর অনুগামী বিধায়কদের বিধায়কপদ যদি খারিজ হয়ে যায় তাহলে ২০০ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগিরষ্ঠতা কমে যাবে। তাতে আস্থা ভোট হলে গেহলট বেরিয়ে যাবেন। তা না হলে সচিনের ১৮ অনুগামী ও বিজেপি ৭২ বিধায়ক গেহলটের একটা সমস্যা হলেও হতে পারে। সেক্ষত্রে অবশ্য দল ভাঙানোর প্রশ্ন এসে যাচ্ছে।