মেয়ের বিয়েতে প্যারোলে মুক্ত রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডে জড়িত নলিনী

নিজস্ব প্রতিবেদন: চোখের সামনে মেয়েকে বড় হতে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। মেয়ে এবার বসছে বিয়ের পীঁড়িতে। সেই বিয়ে উপলক্ষ্যেই জেলে থেকে প্যারোলে মুক্তি পেল রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে সাজাপাপ্ত নলিনী শ্রীহরন।

গত ৫ জুলাই নলিনীর ১ মাসের জামিন মঞ্জুর করে মাদ্রাজ হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার ভেলোর সেন্ট্রাল জেল থেকে মুক্তি পেল নলিনী। তবে প্যারোলে মুক্তির জন্য শর্ত বেঁধে দিয়েছে আদালত। এই এক মাসে নলিনী কোনও রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে দেখা করতে পারবে না, সংবাদমাধ্যমে কোনও সাক্ষাতকার দিতে পারবে না এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্ট দিতে পারবে না।

উল্লেখ্য, নলিনীই হল দেশের একমাত্র মহিলা কয়েদি যে টানা ২৮ বছর জেলে রয়েছে। এতদিনের কারাবাসে এই প্রথম টানা এতদিনের জন্য জেলের বাইরে পা রাখতে পারল সে। এই তিরিশ দিন তাকে ভেলোরেই থাকতে হবে। তবে তার মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে ভেলোর থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে চেন্নাইয়ে। ভেলোরে তার সঙ্গে থাকবে তার মেয়ে হরিথা শ্রীহরন, মা পদ্মাবতী ও বোন কল্যাণী। চেন্নাইয়ের রেয়াপেথায় তার বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি নলিনীকে দেয়নি আদালত।

১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ড মামলায় গ্রেফতার করা হয় নলিনীকে। টাডা আদালত ও সুপ্রিম কোর্ট তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে তা মকুব করে যাবজ্জীবন করে তামিলনাড়ু সরকার। ২০১৬ সালে একবার বাবার মৃত্যুর সময়ে ১২ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পায় নলিনী।