ওয়েব ডেস্ক: "এভাবে আর বাঁচতে চাই না, আমাকে স্বেচ্ছামৃত্যু'র অনুমতি দেওয়া হোক", নিজের 'মৃত্যু ভিক্ষা' চেয়ে সরকারকে চিঠি লিখল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যায় দোষী সাব্যস্ত আসামী রবার্ট পায়াস। ২৬ বছর ধরে কারাবন্দি। তার কথাতে, এরপর 'মুক্তি দিবাস্বপ্ন'। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু দিন যত এগিয়েছে, সেই আশা হারিয়ে গেছে।  যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শ্রীলঙ্কান নাগরিক রবার্টের কথায়, "এখন জীবন চাই না, মৃত্যু-ই চাই। তাতেই মুক্তি।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিঠিতে নিজের আক্ষেপের কথা জানিয়ে রবার্ট পায়াস লিখেছে, "একমাত্র তামিলনাড়ু সরকারই আমার মুক্তির জন্য চেষ্টা করেছিল। ইউপিএ এবং এনডিএ, দুই সরকারই এই বিষয়ে নীরব থেকেছে। তারা চেয়েছে আমার জীবন শেষ হোক গারদেই।" চিঠিতে রবার্ট পায়াস 'স্বেচ্ছামৃত্যু'র সঙ্গেই নিজের শেষ ইচ্ছার কথাও উল্লেখ করেছে। স্ত্রী এবং পরিবার তার সঙ্গে আর দেখা করে না, কেমন আছে তারও কোনও খোঁজ নেয় না। তবুও পায়াসের ইচ্ছা, মৃত্যুর পর যেন তার দেহ পরিবারের হাতেই তুলে দেওয়া হয়। 


এই প্রসঙ্গে বলতে হয়, তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার কথা। রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ৭ আসামীর 'কারামুক্তি'র জন্য সচেষ্ট হয়েছিলেন তিনি। তবে ২০১৪ সালে কেন্দ্র সরকার জয়ললিতার এই প্রচেষ্টাকে আটকে দেয়। তৎকালীন 'ইউপিএ টু' সরকার সাফ জানিয়ে দেয়, "ভারতের মাটিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যা একটি নারকীয়, পৈশাচিক এবং চরম নিষ্ঠুর ঘটনা।" রাজীব গান্ধী হত্যায় দোষীদের মুক্তির দাবি নিয়ে তামিলনাড়ুর সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। দু' বছরের মধ্যেই ৫ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, "যখন কোনও বিষয়ের ওপর কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করে এবং কেন্দ্রীয় আইন মোতাবেক দোষীদের সাজা ঘোষণা করা হয়, তারপর তার বিরুদ্ধাচরণ করার কোনও অধিকার কোনও রাজ্য সরকারের-ই নেই। রাজীব হত্যাকাণ্ডে আদালতের কাছে গোটা ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করেছে সিবিআই।"  


উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ২১ মে, তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় ছক কষে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে হত্যা করা হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে। সেই হত্যা কাণ্ডে ৭ জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। যাদের মধ্যে একজন এই রবার্ট পায়াস।