কাশ্মীরে বসে ছররার পরিবর্তের আশ্বাস দিলেন রাজনাথ; বিচ্ছিন্নতাপন্থীদের একহাত নিলেন মুফতি
অশান্ত কাশ্মীরে আগুনে ঘি ঢেলেছে ছররার ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক। ছররায় আহত ব্যক্তিদের ক্ষোভ ঘিরে দানা বাঁধছিল আরও বিক্ষোভ। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে অশান্তি দমনে সেনার যথেচ্ছ ছররার ব্যবহার নিয়ে। অভিযোগ ওঠে, ছররার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অন্ধত্ব থেকে সারা জীবনের জন্য শরীরে রয়ে যাচ্ছে আঘাতের চিহ্ন। ছররার আঘাত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও শুরু হয় `প্রতিবাদ`। এহেন পরিস্থিতিতেই আজ কাশ্মীরে বসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ঘোষণা করলেন, `শিগগিরই আসছে ছররার পরিবর্ত।`
ওয়েব ডেস্ক : অশান্ত কাশ্মীরে আগুনে ঘি ঢেলেছে ছররার ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক। ছররায় আহত ব্যক্তিদের ক্ষোভ ঘিরে দানা বাঁধছিল আরও বিক্ষোভ। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে অশান্তি দমনে সেনার যথেচ্ছ ছররার ব্যবহার নিয়ে। অভিযোগ ওঠে, ছররার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অন্ধত্ব থেকে সারা জীবনের জন্য শরীরে রয়ে যাচ্ছে আঘাতের চিহ্ন। ছররার আঘাত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও শুরু হয় 'প্রতিবাদ'। এহেন পরিস্থিতিতেই আজ কাশ্মীরে বসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ঘোষণা করলেন, "শিগগিরই আসছে ছররার পরিবর্ত।"
একইসঙ্গে তিনি জানান, সর্বদলীয় একটি প্রতিনিধি দল কাশ্মীরে যাবে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে তারা। শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এই মুহূর্তে কাশ্মীরে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, "সরকারের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে কোনও আপত্তি নেই। কাশ্মীরে অশান্তির পেছনে মূল কারণ বাইরে থেকে কিছু শক্তির উস্কানি। কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যত নিয়ে কারোরই খেলার কোনও অধিকার নেই। কাশ্মীরের সুন্দর ভবিষ্যত ছাড়া ভারতেরও কোনও ভবিষ্যত থাকতে পারে না। তাই শান্তি রক্ষা করুন।"
কাশ্মীরের জঙ্গি নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে পরের পর সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৭০ জন। আহত প্রায় ১০০০০। সাংবাদিক বৈঠকে মুফতি বলেন, "কাশ্মীরের ৯৫ শতাংশ মানুষ শান্তি চান। পাথর ছুঁড়ে শান্তি আসবে না।"