নিজস্ব প্রতিবেদন:  মস্কোয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের(SCO) বৈঠক থেকে ফেরার পথে তেহরানে ইরানের সঙ্গে মন্ত্রিপর্যায়ে বৈঠক করতে পারেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বহুদিন ধরেই ইরান ভারতে ভালো বন্ধু। সেই সম্পর্ক আরও সহজ করার জন্য কিছুদিন থেকে একাধিক বিদেশি ভাষার পাশাপাশি হিন্দিতেও টুইট করছেন সে দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা খোমেইনি।


আরও পড়ুন-'এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না, সব ঝামেলার জন্য দায়ী ভারত', আড়াই ঘণ্টা বৈঠকের পর জানাল চিন


ভারতের সহযোগিতায় ইরানে তৈরি হয়েছে চারবাহার বন্দর। দক্ষিণ এসিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এসিয়ায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে এই বন্দর। ফলে বহু দিন থেকেই এই বন্দরটির ওপরে জোর দিচ্ছে ভারত। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর এই বন্দরটি দিয়ে দক্ষিণ এসিয়ার একাধিক দেশে পণ্য পরিবহণ করেছে ইরান। চিনের সঙ্গে সম্পর্কের অবণতির পর মধ্যে এসিয়ায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে ইরানের বন্ধুত্ব আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।  সরকারের তরফে রাজনাথের ইরানে থামার উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু বলা না হলেও দ্বিপাক্ষিক বিণিজজ্য নিয়ে কথা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। 


২০১৬ সালে ভারত, আফগানিস্থান ও ইরান চারবাহার বন্দরের মাধ্যমে একটি বাণিজ্য পথ তৈরির চুক্তি করে। এই বন্দরের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই আফগানিস্থানে গম পাঠিয়েছে ভারত। রাশিয়ায় সঙ্গে যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এই চারবাহার বন্দর। চারবাহার বন্দর থেকে জাহেদান পর্যন্ত এক রেলপথ তৈরির ব্যাপারেও কথা চলছে। ওই রেলপথ নির্মাণে অংশ নিতে পারে ভারত।


আরও পড়ুন-"অরুণাচলে ৫ ভারতীয় কিশোরকে অপহরণ করেছে চিনা সেনা!"


ইরানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত গাদাম ধর্মেন্দ্র সম্প্রতি তেহরান টাইমসে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ইরান সবসময়েই ভারতের ভালো বন্ধু, চারবাহার বন্দর তৈরি হওয়ার ফলে বাণিজ্যের মাধ্যেম সেই বন্ধুত্ব আরও সুদৃড় হবে। মধ্য এসিয়া, পূর্ব ইয়োরোপের গেটওয়ে হতে পারে চারবাহার বন্দর। পাশাপাশি রয়েছে বন্দর আব্বাস। এটিও ব্যবহার করছে ভারতে। আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যর ক্ষেত্রে এই দুই বন্দর ভারতের কাজ লাগবে।