নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ভারতের ১৫টি রাজ্যের মোট ৫৭টি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন হচ্ছে শুক্রবার। এই নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে শুক্রবারেই। এর মধ্যে ৪১টি আসনে প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হয়েছেন। এরফলে মাত্র ১৬টি আসনেই নির্বাচন হবে শুক্রবার। মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং কর্নাটকের ১৬টি আসনে হবে এই নির্বাচন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা আসনের ক্ষেত্রে সাংসদরা সরাসরি জনতার ভোটে নির্বাচিত হন। কিন্তু রাজ্যসভা আসনের ক্ষেত্রেও সাংসদরা নির্বাচিত হন জনতার মাধ্যমে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে জনতা সরাসরি ভোট দেয়না। তাদের নির্বাচিত বিধায়কদের ভোটে নির্বাচিত হন রাজ্যসভার সাংসদরা। 


রাজ্যসভা কী?


রাজ্যসভা হল সংসদের উচ্চকক্ষ। ইংল্যান্ডের হাউস অফ লর্ডসের আদলে তৈরি রাজ্যসভা। রাজ্যসভায় বর্তমানে ২৪৫ জন সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ২৩৩ জন নির্বাচিত সদস্য এবং ১২ জন মনোনীত। সাংবিধানিক সীমা অনুযায়ী, উচ্চকক্ষের সংখ্যা ২৫০-এর বেশি হতে পারে না।


২৩৩ জন সদস্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (UTs) থেকে নির্বাচিত হন। অন্যদিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি বাকি ১২ জন সদস্যকে শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান এবং সামাজিক পরিষেবার জগৎ থেকে মনোনীত করেন।


রাজ্যসভার চেয়ারপারসন পদে থাকেন দেশের উপ-রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য একটি বিল পাঠানোর আগে শেষ ধাপে রাজ্যসভায় তা পাঠানো হয় অনুমোদনের জন্য।


সংবিধান অনুসারে, যেহেতু রাজ্যসভা রাজ্যগুলির কাউন্সিল, তাই রাজ্যসভার জন্য আসন বণ্টন প্রতিটি রাজ্যের জনসংখ্যার ভিত্তিতে করা হয়।


কীভাবে নির্বাচিত হন রাজ্যসভার সদস্যরা?


রাজ্যসভার সদস্যরা খোলা ব্যালটে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। একটি রাজ্যের বিধানসভার সদস্যরা রাজ্যসভা নির্বাচনে ভোট দেন যাকে একক স্থানান্তরযোগ্য ভোট (STV) পদ্ধতিতে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বলা হয়। প্রতিটি বিধায়কের ভোট একবার গণনা করা হয়।


একজন রাজ্যসভার সদস্যের মেয়াদ ছয় বছর। সভার এক-তৃতীয়াংশ সদস্য প্রতি দুই বছরে অবসর নেন এবং সেই স্থানে নতুন সদস্য নির্বাচিত হন।


প্রত্যেক সদস্য ছয় বছর মেয়াদে তাদের দায়িত্ব পালন করেন। মেয়াদ উত্তির্ন হওয়া বাদে মৃত্যু, অযোগ্যতা অথবা পদত্যাগের ক্ষেত্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।


রাজ্যসভার ভোটের পদ্ধতি এবং ফর্মুলা কী?


যেহেতু বিধায়করা রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচন করেন, তাই এটা মনে হতে পারে লোকসভায় যে রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা বেশি তারাই উচ্চকক্ষে আরও সাংসদ পাঠাবে।যদিও সবসময় তা হয়না।


ভোটিং সিস্টেমে, বিধায়করা প্রতিটি আসনের জন্য ভোট দেন না। যদি তা হোতো তাহলে কেবল ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরাই জয়লাভ করতেন। পরিবর্তে, বিধায়কদেরকে তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রার্থীর ক্রমতালিকা তৈরি করতে হবে।


যদি একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটার তাদের প্রথম পছন্দ হিসাবে একজন প্রার্থীকে বেছে নেয়, তাহলে তিনি নির্বাচিত হন। অবশিষ্ট ভোট পরবর্তী প্রার্থীদের কাছে যায়, কিন্তু তার মূল্য কম। তাই, বিধায়করা অন্য দলের প্রার্থীদেরকেও ভোট দেন।


একজন বিধায়কের যে প্রার্থীকে প্রথম র‍্যাঙ্ক দেন তিনি প্রথম পছন্দের ভোট পান। বিজয়ী হওয়ার জন্য, একজন প্রার্থীকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রথম পছন্দের ভোট পেতে হয়। এই সংখ্যাটি সেই বিধানসভার সদস্যসংখ্যা এবং রাজ্যসভায় কতজন সাংসদ সেই রাজ্য থেকে যাবেন তার উপর নির্ভর করে।


আরও পড়ুন: Rajya Sabha polls: মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস প্রার্থী ইমরান প্রতাপগড়িকে ভোট দেবেন এআইএমআইএম বিধায়করা!


জয়ী হওয়ার জন্য, একজন প্রার্থীকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট পেতে হয়। একে কোটা অথবা প্রেফারেন্স ভোট বলে। এই নিরবাচনে জয়লাভের জন্য যে ফর্মুলা ব্যবহার করা হয় তা হল [মোট ভোটের সংখ্যা/(রাজ্যসভা আসনের সংখ্যা + ১)] + ১।


যদি একটি রাজ্য থেকে একাধিক রাজ্যসভার আসন পূরণের প্রয়োজন হয় তাহলে এই ফর্মুলার পরিবর্তন করা হয়। ক্ষেত্রে একজন প্রার্থীর জয়ের জন্য মোট ভোটের সংখ্যা হতে হবে [(ভোটের সংখ্যা x ১০০) / (শূন্যপদ + ১)] + ১।


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)