নিজস্ব প্রতিবেদন: রাম নবমীর ট্যাবলোতে মালদার শ্রমিক আফরাজুলের খুনের দৃশ্য। রাজস্থানে এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। প্রশ্ন উঠছে কী করে নৃশংসতা নজির হতে পারে? কী করে তার প্রচার চলতে পারে সমাজে?



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার রাম নবমী উপলক্ষে রাজস্থানের জোধপুরে শোভাযাত্রা বের হয়। সেই শোভাযাত্রায় ছিল একটি ট্যাবলো। সেখানেই মহিমান্বিত করা হল আফরাজুলের খুনি শম্ভুলালকে। ট্যাবলোয় টাঙানো একটি ব্যানারে রীতিমতো শম্ভুলালের প্রশস্তি করা হয়। 


 



উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর রাজস্থানের রাসমন্দ জেলায় নির্মমভাবে কুপিয়ে খুন করা হয় মালদার শ্রমিক মহম্মদ আফরাজুলকে। কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে আফরাজুলকে খুন করার পর তার তার দেহ জ্বালিয়ে দেয় খুনি শম্ভুলাল রেগার। ক্যামেরাবন্দি সেই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। শম্ভুলালের দাবি ছিল, তার এক ‘হিন্দু বোন’-কে লভ জেহাদের হাত থেকে বাঁচাতেই সে ওই খুন করেছে। কিন্তু পরে পুলিসের জেরায় অবশ্য বেরিয়ে আসে নতুন তথ্য।
আরও পড়ুন-পোলের ওপর থেকে ছিটকে পড়লেন ব্যক্তি! শান্তিনিকেতনে ভয়ঙ্কর ঘটনা
রাম নবমীর ট্যাবলোতে শম্ভুলালের সেই খুনের দৃশ্যকে তুলে ধরা হয়। সেখানে নায়ক হিসাবে উপস্থাপন করা হয় শম্ভুলালকে। ট্যাবলোয় একজনকে শম্ভুলাল সাজানো হয়। তার হাতে কুড়ুল। আর তার পায়ের কাছে পড়ে আফরাজুলরূপী এক ব্যক্তি।



প্রসঙ্গত শম্ভুলালকে জেরা করে বেরিয়ে আসে অন্য তথ্য। রাজস্থান পুলিসের দাবি, শম্ভুলালের ‘হিন্দু বোন’-এর সঙ্গেই তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলা এক যুবককে বিয়ে করে মালদায় চলে আসে। ওই যুবককে রাজস্থানে নিয়ে গিয়েছিল আফরাজুল। সেই রাগই গিয়ে পড়ে আফরাজুলের উপরে।