নিজস্ব প্রতিবেদন: বাবরি মসজিদের দেওয়ালের লেখা থেকে জানা গিয়েছিল ১৫২৮ সালে মুঘল সম্রাট বাবরের নির্দেশে তাঁর সেনাপতি মির বাঁকি এই মসজিদ তৈরি করেছিল। যদিও অযোধ্যায় আরেকটি প্রচলিত বিশ্বাস ঔরঙ্গজেব মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করেছিল। সে যাই হোক, প্রায় সাড়ে ৪০০ বছরের রামমন্দির বিতর্ক অবসানের প্রক্রিয়া পাকাপাকিভাবে শুরু হয়েছিল নয়ের দশকের প্রথমে। আর সেই রাম জন্মভূমি আন্দোলনের প্রাধন কান্ডারি ছিলেন লালকৃষ্ণ আদবানী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৯৯০ সালে অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির দাবিতে গুজরাতের সোমনাথ থেকে রাম রথযাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। বলা চলে সেই রথযাত্রার পর থেকে বিজেপি তার রামমন্দির তৈরির দাবি আরও জোরদার করে।  রামমন্দির স্থাপন সঙ্গে দেশব্যাপী হিন্দুত্ববাদের প্রচারে আডবাণীর রথযাত্রা ঘুম কেড়ে নিয়েছিল ততকালীন কংগ্রেস সরকারের। কিন্তু আডবাণীর সেই রথযাত্রা থমকে যায় বিহারে। আডবাণীর রথ আটককান সে সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। তাঁকে গ্রেফতার করে লোকচক্ষুর আড়ালে নিয়ে যান তিনি। রথযাত্রা থমকে গেলেও অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির আন্দোলনের বীজ কিন্তু রোপণ করে দিয়ে গিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
 
যে লালকৃষ্ণ আডবাণীর হাত ধরে বিজেপির অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি জোরাল আন্দোলনে সূচনা, সেই আডবাণী রামমন্দিরের ভূমি পূজোতে ব্রাত্য। বেশ কিছু দিন ধরে তাঁর আমন্ত্রণ নিয়ে জোর চাপানউতর দেখা যায়। করোনা পরিস্থিতি এবং তাঁর বয়স আজ এই অনুষ্ঠান আসায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন। কিন্তু একাংশের মতে, এই প্রবীণ রাজনীতিককে ন্যূনতম সৌজন্য দেখাননো হয়নি। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁকে ইমেলে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ফোনও করা হয়। কিন্তু  এই দাবি উড়িয়ে দেয় আডবাণীর মুখপাত্র।


আডবাণী এবং মুরলি মনোহর জোশীর 'ব্রাত্য' থাকা নিয়েই  বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শিষ্টাচার ও সম্মানের খাতিরেই বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বের আডবাণীর কাছে যাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন একাংশ। আমন্ত্রণের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে মুরলি মনোহর জোশীকেও।


৩০ বছর আগে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল আজ তা বাস্তবে রূপ পেল। শতবর্ষের দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে স্বপ্নপূরণের সেই আনন্দ আডবাণীকে সব অভিমান সব দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছে। তাই আডবাণী বলেন, "সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে শান্তিপূর্ণ বাতাবরণে মন্দির তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। এটা ভারতীয়দের পারস্পরিক সম্পর্ককে মজবুত করতে সাহায্য করবে। শ্রীরামচন্দ্র ভারতীয় সংস্কৃতি ও সভ্যতার সর্বোচ্চ প্রতীক।  বিনয় ও শিষ্টাচারের মূর্ত রূপ। সেই সঙ্গে দেশের আবেগ এবং এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সৌহার্দ্য ও শান্তির বার্তা দেবে রামমন্দির। সকলের জন্য ন্যায়ের বার্তা দিচ্ছে অযোধ্যা মন্দির। এই ভূমিপূজো গোটা দেশের সাফল্য। সুশাসন প্রতিষ্ঠা পেল।"