ব্যুরো: রসগোল্লা কার? গোলাকৃতি মিষ্টান্ন নিয়ে দড়ি টানাটানি প্রকট। ওড়িশা বলছে রসগোল্লা তাঁদের। আর বাংলার দাবি, রসগোল্লা এ রাজ্যেরই। মুখের বুলিই শুধু নয়, রসগোল্লা নিয়ে সরকারি স্তরেও পত্রযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাগবাজারের মূল রাস্তায় ছিল নবীন ময়রার দোকান। শুকনো মিষ্টির পাশাপাশি রসের মিষ্টির দাবি জানাতেন ক্রেতারা। আর ক্রেতাদের দাবি মেটাতেই রসগোল্লা তৈরি করেন নবীনচন্দ্র দাস। সালটা ১৮৬৮। সেই থেকেই ভিনদেশি বা ভিনরাজ্যের মানুষের কাছে বাঙালি আর রসগোল্লা যেন সমার্থক। রসগোল্লা বাংলার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।


ওড়িশা বলছে রসগোল্লা আদৌ বাংলার নয়। তাঁদের দাবি, রথযাত্রা শেষে লক্ষ্মীদেবীর মানভঞ্জনের জন্য জগন্নাথ দেব ছানার ক্ষীরমোহন তাঁকে খেতে দিয়েছিলেন। সেই ছানার ক্ষীরমোহনই আসলে রসগোল্লা। এই গল্প বলেই কেন্দ্রের  দ্বারস্থ ওড়িশা সরকার। দাবি,  ওড়িশার সঙ্গেই জড়িয়ে দিতে হবে রসগোল্লার নাম।


ওড়িশা সরকারের এই দাবিকে ঘিরে বেজায় চটেছে নবীনচন্দ্র দাসের পরিবার।


বিষয়টি জানাজানির পর ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকারও। তাঁরাও রসগোল্লার ইতিহাসের যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে হাজির হচ্ছে কেন্দ্রের দরবারে।