বিচার চাই, কেরলে গর্ভবতী হাতি খুনে গর্জে উঠলেন রতন টাটা
পুলিস অবশ্য এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন - অনেকেই বলছেন, মানুষকে বিশ্বাস করে ঠকতে হল হাতিটিকে। কেউ আবার বলছেন, মানুষের পক্ষেই এমন বর্বরোচিত হত্যা সম্ভব। কিন্তু যে বা যারা কেরলের মলাপ্পুরামের ওই হাতিটিকে মারল তারা কি আদৌ মানুষ? এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটানো মান ও হুঁশ থাকা কারও পক্ষে কি সম্ভব? সারা দেশে বহু হাতিকেই এমন নৃশংসতার শিকার হতে হয়। কখনও মানুষের নারকীয় ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। কখনও কেউ জানতেও পারে না। চোরাশিকারীদের হাতে হাতির মৃত্যু নতুন কিছু নয়। তবে এভাবে একটি গর্ভবতী হাতিকে বিস্ফোরক ভরা ফল খাইয়ে মারার ঘটনা হয়তো এর আগে ঘটেনি। হতভাগ্য সেই হাতির করুণ পরিণতিতে গোটা দেশের মানুষের চোখে জল। কেন এই নৃশংসতা? উত্তর নেই কারও কাছে।
ফসল রক্ষায় অনেক সময় চাষীরা বিভিন্ন পথ নেন। হাতিদের ক্ষেত থেকে দূরে রাখতে বাজি ফাটানো হয়। কখনও আবার ক্ষেতের চারপাশে বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘেরা থাকে। সেই তারে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে অনেক হাতি মারাও যায়। অনেক সময় সেসব খবর হয়। কিন্তু খবরের ওপর খবর চাপা পরে মানুষ ভুলেও যায়। এই হাতির কথাও হয়তো মানুষ ভুলে যাবে কিছুদিন পর। তবে দোষীদের শাস্তির দাবি উঠেছে দেশজুড়ে। পুলিস অবশ্য এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ওই হাতিটিকে কে বা কারা বাজি ভর্তি ফল খেতে দিয়েছিল সেটা জানাতে পারলেই মিলবে পঞ্চাশ হাজার টাকা। এমনই ঘোষণা করেছে প্রশাসন। আর এবার দোষীদের শাস্তির দাবি করলেন রতন টাটা।
দেশের অন্যতম শিল্পপতি টুইটারে লিখেছেন, একটি নিরপরাধ, গর্ভবতী হাতিকে এভাবে হত্যা খুন করার মতো অপরাধ। আশা করব দোষীদের বিচার হবে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, দোষীদের কঠোর শাস্তি হবে। এরই মধ্যে পুলিস ও বন দফতর একসঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে। বন দফতরের কর্মীরা সন্দেহ করছেন এপ্রিল মাস নাগাদ আরও একটি হাতিকে একইভাবে খুন করা হয়েছিল।