ওয়েব ডেস্ক: ৬ জুলাই রথযাত্রা। উত্‍সবে নাশকতা এড়াতে আহমেদাবাদ জুড়ে এখন কড়া নিরাপত্তা। খাকি আর জলপাই রঙের উর্দিতে ছেয়ে গেছে দেশের অন্যতম বাণিজ্যনগরী।
রথ বলতে সবার মনে একবাক্যে যে জায়গাটার নাম মনে আসে, তা হল পুরী। শ্রীক্ষেত্রের রথযাত্রা উত্‍সব সারা বিশ্বে বিখ্যাত। জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি যাওয়ার দিন নীলাচলে ভিড় করেন দেশ বিদেশের বহু পর্যটক। রথকে ঘিরে আরও একটা জায়গা দারুণ ভাবে মেতে ওঠে। তা হল আহমেদাবাদ। পুরীর মতো অতটা বিখ্যাত না হলেও আহমেদাবাদের রথযাত্রা উত্‍সব দেশের মধ্যে নামকরা। ছয়ই জুলাই দড়িতে টান পড়বে। তার আগে আহমেদাবাদ জুড়ে এখন কড়া নিরাপত্তা। দশদিন ধরে রথযাত্রা উত্‍সব চলে আহমেদাবাদে। এখন তার প্রস্তুতি তুঙ্গে। কিন্তু মাথার ওপর সন্ত্রাসের ছায়া। প্রতিবেশী দেশে সদ্য ঘটে গেছে ভয়াবহ সন্ত্রাস। হায়দরাবাদে ধরা পড়েছে IS এর পাঁচ সন্দেহভাজন যুবক। এমন পরিস্থিতিতে রথযাত্রা উত্‍সবকে নিরাপদ রাখতে গিয়ে পুলিস-প্রশাসনের দম ফেলার সময় নেই। জগন্নাথ মন্দিরের সামনে কড়া পাহারা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে স্পেশাল পোস্টিং।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন শুধু লেখা নয়, বৃষ্টির রাতে শুনুন এক অন্য FM



প্রতি বছর রথযাত্রা দেখতে আহমেদাবাদে ভিড় করেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। জঙ্গিরা ভিড়ের সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বড়সড় নাশকতা চালাতে পারে। এই আশঙ্কায় নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না প্রশাসন। রথের রশি, সেকি বাইরে পড়ে থাকে! রথের দড়ি থাকে মানুষের মনের ভিতর। লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাই রথের দড়িতে হাত লাগানো মানেই মিলনের মহামন্ত্র পড়ে ফেলা। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এক সুতোয় মালা গাঁথার মতো ঐক্যবদ্ধ করে রথের দড়ি। মহামিলনের সেই উত্‍সবেও সন্ত্রাসের ছায়া। তাই আহমেদাবাদ এখন দুর্গনগরী।  


আরও পড়ুন  প্রেম গোপন ভালো নাকি খুল্লামখুল্লা?