জলপাইগুড়ির করিমুলের ধর্ম জানতে চাননি প্রধানমন্ত্রী, সংসদে রবিশঙ্কর প্রসাদ
মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব থেকে তাত্ক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিল পাশ করাতে সরকার উদ্যত হয়ে উঠেছে বলে লোকসভায় অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। তার জবাব দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাস মন্ত্রের স্মরণ করিয়ে দিলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব থেকে তাত্ক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী বিল পাশ করাতে সরকার উদ্যত হয়ে উঠেছে বলে লোকসভায় অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। তার জবাব দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাস মন্ত্রের স্মরণ করিয়ে দিলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ।
সংসদে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন,'আমরা মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোট পাই না, একথা খোলাখুলি বলতে আপত্তি নেই। কিন্তু মোদী সরকার বিভেদের রাজনীতি করে না। বরং সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাস নীতি নিয়ে চলি'।
'সবকা বিশ্বাস' যে শুধু কথার কথা নয়, তা প্রমাণে নজির তুলে ধরেছেন রবিশঙ্করপ্রসাদ। তাঁর কথায়, 'জলপাইগুড়ির বাসিন্দা করিমুল হক। মা চলে যাওয়ার মোটর সাইকেলকে অ্যাম্বুল্যান্স বানিয়েছেন। মানুষকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। চা বাগানে কাজ করেছিলেন তিনি। ফোন গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে। খোদ নরেন্দ্র মোদী ওনাকে বলেছিলেন, আপনি ভালো কাজ করছেন। পদ্মশ্রী দেবে সরকার। কখন জানতে গিয়েছি, করিমুলের ধর্ম কী?'
রবিশঙ্কর আরও বলেন,'২০১৫ সালে ১৯৬৫-এর যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছিল। নয়াদিল্লিতে এক্সিবিশনে গিয়ে বীর আবদুল হামিদের ব্যাপারে জানতে পারলাম। পায়ে ধরে প্রণাম করেছি। সেদিন দেশভক্তের পা ছুঁয়েছিলাম'।
এদিন ভোটাভুটিতে সহজেই পাশ হয়ে যায় তিন তালাক বিরোধী বিলটি। পক্ষে পড়েছে ৩০২টি ভোট। বিপক্ষে ৭৮টি। বিলের বিরোধিতায় ওয়াক আউট করেন কংগ্রেস, তৃণমূল ও জেডিইউ সাংসদরা।
আরও পড়ুন- 'মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ' না বলায় অধ্যাপককে মার, বুদ্ধিজীবীরা কোথায়? প্রশ্ন বিজেপির