নিজস্ব প্রতিবেদন: জল্পনা ছিলই। এনিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে সরকারের সংঘাতও হচ্ছিল। সেই দড়ি টানাটানির অবসান ঘটল এবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজকোষের ঘাটতি সামাল দিতে সরকারকে ১.৭৬ লাখ কোটি টাকা দিতে সম্মত হল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জালান কমিটির সুপারিশ মেনেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ার থেকে এতবড় তহবিল গত এক দশকে কখনও সরকারের ঘরে যায়নি।


আরও পড়ুন-জেলাশাসকের বাঙলোর সামনে বোমাবাজি, গ্রেফতার সিউড়ির তৃণমূল নেতা


দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গত সপ্তাহে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। জিএসটি, আয়কর আইনেও ছোটখাটো পরিবর্তন ছাড়াও একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছিল আর্থিক সংস্কার করতে যে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা আসবে কোথা থেকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ার থেকে খরচ করেই সেই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে ধারনা বিভিন্ন মহলের।



রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিবৃতি অনুযায়ী, ১.৭৬ লাখ কোটি টাকার মধ্যে ১.২৩ লাখ কোটি টাকা দেওয়া হবে ২০১৮-১৯ সালের জন্য। বাকি ৫২,৬৪০ কোটি টাকা দেওয়া হবে সারপ্লাস ক্যাপিটাল থেকে। ১.২৩ লাখ টাকার মধ্যে ২৮,০০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে।


প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে চাঙ্গা করতে গত শুক্রবার তাদের ৭০,০০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এতে শিল্পক্ষেত্র নগদের জোগান বাড়বে বলে আশা করছে সরকার। এদিকে টাকার দামও ক্রমশ কমছে। এমনকি টাকার মূল্যে ভারতের ঘাড়ে শ্বাস ফেলছে বাংলাদেশ। সোমবার ভারতের ১ টাকার দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের ১ টাকা ১৪ পয়সার সমান। ফলে এনিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে সরকারের।


আরও পড়ুন-‘উত্তরসুরী’ হিসাবে ইজাজকে ভারতে JMB-র প্রধান বানানোর প্রস্তাব দিয়েছিল কওসরই!


ভারত ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হবে বলে আশা করেছে সরকার। এর মধ্যেই অর্থনীতিতে বড় াক্কা খেয়েছে ভারত। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে যে টাকা সরকারের ভাঁড়ারে আসছে তা কয়েক বছরের রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ২০০৮ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে সরকারের ভাঁড়ারে এসেছিল ১৫,০১১ কোটি টাকা, ২০১৩ সালে ৩৩,০১০ কোটি টাকা, ২০১৬ সালে ৬৫,৮৭৬ কোটি টাকা, ২০১৮ সালে ৫০,০০০ কোটি টাকা। কিন্তু ২০১৯ সালে সেই অঙ্ক গিয়ে দাঁড়াল ১,৭৬,০৫১ কোটি টাকা।