সত্যিই কি সিবিআই খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি?
CBI খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি? তার অনেক মনিব। কয়লা কেলেঙ্কারির শুনানিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে বহুবার। CBI-এর রাজনৈতিক ব্যবহারের অভিযোগ নতুন নয়। বন্ধুদের বাঁচাতে এবং শত্রুদের টাইট দিতে একাধিকবার স্বশাসিত সংস্থাকে অপব্যবহারের অভিযোগ আছে। নরসিংহ রাও, জয়ললিতা, লালুপ্রসাদ যাদব, মায়াবতী ও মুলায়ম সিং যাদবের বিরুদ্ধে CBI-কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে বারবার।কয়লা কেলেঙ্কারির খসড়া রিপোর্টে রদবদলের চেষ্টা। CBI-এর কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে দ্বিতীয় UPA সরকারের বিরুদ্ধে। তা জানতে পেরে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। দুহাজার তেরো সালের ৯ই মে শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে, তদন্তকারী সংস্থাকে অপরিসীম ক্ষমতা দেওয়া বিপজ্জনক। সে পাগলা ঘোড়া হয়ে যাবে। কিন্তু CBI তো খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি। তার অনেক মনিব।
ওয়েব ডেস্ক: CBI খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি? তার অনেক মনিব। কয়লা কেলেঙ্কারির শুনানিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে বহুবার। CBI-এর রাজনৈতিক ব্যবহারের অভিযোগ নতুন নয়। বন্ধুদের বাঁচাতে এবং শত্রুদের টাইট দিতে একাধিকবার স্বশাসিত সংস্থাকে অপব্যবহারের অভিযোগ আছে। নরসিংহ রাও, জয়ললিতা, লালুপ্রসাদ যাদব, মায়াবতী ও মুলায়ম সিং যাদবের বিরুদ্ধে CBI-কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে বারবার।কয়লা কেলেঙ্কারির খসড়া রিপোর্টে রদবদলের চেষ্টা। CBI-এর কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে দ্বিতীয় UPA সরকারের বিরুদ্ধে। তা জানতে পেরে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। দুহাজার তেরো সালের ৯ই মে শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে, তদন্তকারী সংস্থাকে অপরিসীম ক্ষমতা দেওয়া বিপজ্জনক। সে পাগলা ঘোড়া হয়ে যাবে। কিন্তু CBI তো খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি। তার অনেক মনিব।
আরও পড়ুন নীল জার্সিতে প্রথম নেতা হয়ে কেদারকে নিয়ে হার্দিক শুভকামনায় বিরাট জয় কোহলির
2G স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে CBI তদন্তের গতি নিয়ে একাধিকবার বিরক্তি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত নিজে নজরদারি শুরু করতেই জালে ওঠে রাঘব বোয়ালরা। CBI-এর অপব্যবহারের অভিযোগ অবশ্য এত টাটকা নয়। রীতিমতো পুরনো। ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় ওয়ারেন অ্যান্ডারসনের প্রত্যর্পণের উদ্যোগে ঢিলে দিতে বলা হয়েছিল। অবসরের পর অভিযোগ করেন প্রাক্তন CBI ডিরেক্টর BR লাল।২০০৬ সালে জানা যায়, ওত্তাভিও কোয়াত্রোকির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট গোপনে খুলে দিয়েছে CBI। ২১ কোটি টাকা তুলে ভেগেছে বোফর্স অভিযুক্ত।১৯৯১ সালে এক কাশ্মীরী জঙ্গির বয়ানকে সামনে রেখে হাওয়ালা কাণ্ডে অভিযুক্ত করা হয় লালকৃষ্ণ আডবাণী সহ বিরোধী রাজনীতিকদের । প্রিয়দর্শিনী মাত্তু মামলায় প্রথমে বেকসুর খালাস পায় অভিযুক্ত। IPS অফিসারের ছেলের বিরুদ্ধে তদন্তে ইচ্ছাকৃত ঢিলেমির অভিযোগ খোদ আদালতের। দ্বিতীয়বার তদন্তে সেই ব্যক্তিই দোষী সাব্যস্ত। শোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে গুজরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ তোলে BJP। বিধিমতো CBI স্বশাসিত সংস্থা। ব্যবহারিক ক্ষেত্রেও তার প্রচুর স্বাধীনতা। যদিও অনেকেই অভিযোগ করেন, সব স্বশাসনই কাগজে কলমে। বাস্তবে শাসকের নির্দেশেই নড়াচড়া করে ফাইল। আলাদা আইন করে সাংবিধানিক অধিকার না দিলে CBI এর অপপ্রয়োগ চলবেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, CBI কে আইন করে স্বাধীন করার ঝুঁকি কি আইন প্রণেতারা নেবেন? সেই সদিচ্ছা কারও আছে কি?
আরও পড়ুন সেনা দিবসের সমাবেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত