নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেসের জিএসটি বিরোধীতার পাল্টা 'জিএসটি উন্নয়ন'কেই হাতিয়ার করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাটের ভাবনগরে নতুন খেয়া পরিষেবার উদ্বোধনে এসে নরেন্দ্র মোদী সাফ জানালেন, জিএসটি এবং নোট বন্দির মত বিষয়কে যতই নিশানা করা হোক, অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য আগামীতেও এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জিএসটি আসার পর ২৭ লক্ষ 'নতুন নাগরিক' মূলস্রোতে এসেছেন, এমনই দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে গুজরাটের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, "যারা ভয় পাচ্ছেন, তাঁদের বলছি, সরকার কখনই পুরনো নথিতে হাত দেবে না। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, কোনও আধিকারিক পুরনো নথি ঘেঁটে সে বিষয়ে তদন্ত করবে না"। জিএসটি এবং নোট বন্দির সিদ্ধান্ত যে ভারতীয় অর্থনীতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সে বিষয়েও এদিন ফের সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। "দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে এবং সঠিক লক্ষ্যে এগোচ্ছে", রবিবার ভাবনগরের সভায় এই কথাই বলেন মোদী।      


বাণিজ্যনগরী গুজরাটের ব্যবসায়ীদের প্রতি নরেন্দ্র মোদীর বার্তা, "সততার উপর দাঁড়িয়েই নতুন ব্যবসায়িক সংস্কৃতি গড়ে তুলেছি আমরা। আমি নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বলছি, কোনও ব্যবসায়ীই প্রতারণা করতে চান না। কিন্তু ব্যবসায়ীদের আইনের গেরোয় ফেলে তাঁদের বিপথে চালিত করছে কিছু আধিকারিক, রাজনীতিবিদ। আমি এমন অসহায় ব্যবসায়ীদের একটা স্বচ্ছ পরিবেশ দিতে চাই। 'বিকাশ'-এর জন্যই কর্ম সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। 


রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, কেন্দ্রের জিএসটি এবং নোট বন্দির সিদ্ধান্তের কারণে মোদীর ওপর চটেছে গুজরাটের বণিক মহল। মওকা বুঝে ব্যবসায়ীদের এই ক্ষোভকেই মোদী-বিরোধী ভোটে পরিণত করতে ময়দানে নেমেছে কংগ্রেস। সেই কারণেই জিএসটি এবং নোট বন্দির মত ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক লড়াইয়ে নেমেছেন রাহুল গান্ধীও। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই তাই কংগ্রেসের জিএসটি বিরোধীতার প্রচারে পাল্টা জিএসটি উন্নয়ন বার্তা দিতে হাজির হলেন স্বয়ং মোদী, এমনই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।