নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলার একঝাঁক বিশিষ্ট মানুষজনকে বিভিন্ন সম্মানে ভূষিত করেছে কেন্দ্র। তাঁদের মধ্য়ে রয়েছেন সিআরপিএফের(CRPF) বেঙ্গল সেক্টরের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট দিলীপ মালিক(Dilip Mallik)। দেশের একাধিক মাওবাদী ও জঙ্গি উপদ্রুত এলাকায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে দেওয়া হয়েছে শৌর্যচক্র সম্মান(Shaurya Chakra)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হুগলির জগত্নাথপুর গ্রামে বড় হওয়া দিলীপ মালিক সিআরপিএফ-এর সাব-ইন্সপেক্টরের পদে যোগ দেন ১৯৯০ সালে। কঠিন পরিশ্রমে ভর করে ১৯৯৮ সালে ইন্সপেক্টর ও ২০০৬ সালে অ্যাসিস্ট্য়ান্ট কমান্ড্যান্ট পদে উন্নিত হন। ২০১৩ সালে হন জেপুটি কমান্ড্য়ান্ট। 


টানা ৩০ বছরের কর্মজীবনের মধ্যে ২১ বছর তাঁর কেটেছে ছত্তীসগড়, ঝাড়খণ্ড, গড়চিরৌলির মতো নকশাল প্রভাবিত ও জম্মু-কাশ্মীরের(J&K) মতো জঙ্গি উপদ্রুত এলাকায়। সিআরপিএফের ১৫৬ নম্বর ব্য়াটালিয়নে থাকার সময় ১৬ উলফা-সহ একাধিক কেএনএলএফ, এনএসসিএম জঙ্গিকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করতে সফল হয়। বাংলায় ২১ জন মাওবাদী তাঁর আমলে আত্মসমর্পণ করে। পাশাপাশি কিষেণজির এনকাউন্টারের ক্ষেত্রে তাঁর গুরুত্বপূরণ ভূমিকা ছিল। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ(West Bengal) ও বিহারের(Bihar) ২০০ মাওবাদীকে গ্রেফতারের পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন দিলীপ মালিক।


আরও পড়ুন-"উদ্দেশ্যপ্রণোদিত! রাজনৈতিক বক্তব্য পেশে বিধানসভাকে ব্যবহার", রাজ্যপালের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ স্পিকার


কোবরাCoBRA ব্য়াটালিয়নে থাকাকালীন বিহারের নওয়াদা জেলায় এনকাউন্টারের মারা যায় ৪ কুখ্য়াত মাওবাদী। উদ্ধার হয় বিপুল অস্ত্র। ওই সাফল্য়ের জন্য তাঁকে ২০১৯ সালে পুলিস মেডেল দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এবার দেওয়া হল শৌর্যচক্র সম্মান। এছাড়াও চাকরি জীবনে উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য বিভিন্ন সময়ে দিলীপবাবু পেয়েছেন মেরিটোরিয়াস সার্ভিস মেডেল, গ্যালান্ট্রি মেডেল, অতি উত্কৃষ্ট সেবা পদক।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)