নিজস্ব প্রতিবেদন- নেশন ওয়ান্টস টু নো। রিপাবলিক টিভির প্রধান ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক অর্ণব গোস্বামী বারবার এমন কথাই বলেন উল্টেদিকের যে কোনও ব্যক্তিকে। সাংবাদিক হিসাবে তিনি দেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন বলে দাবি করেন। তাঁর সাংবাদিকতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে যদিও অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। তবে তাতে অর্ণব গোস্বামী ও তাঁর অনুষ্ঠানের প্রবাহ আটকে রাখা যায়নি। অর্ণব ও রিপাবলিক টিভির বাজার গরম করা শো চলেছে রমরমিয়ে। Negative publicty is also publicity- এই তত্ত্বেই যেন বিশ্বাসী অর্ণব গোস্বামী। কিন্তু দেশের মানুষের হয়ে গলা ফাটানো সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর চ্যানেলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করল মুম্বই পুলিস। অভিযোগ, টাকা দিয়ে টিআরপি কিনেছে রিপাবলিক টিভি। BARC (Broadcast Audience Research Council) প্রতি সপ্তাহে টিভি চ্যানেলগুলির টিআরপি রেটিং প্রকাশ করে। আর গত কয়েক সপ্তাহে রিপাবলিক টিভির টিআরপি-র অস্বাভাবিক লাফ বার্ক-এর আধিকারিকদের সন্দেহের উদ্রেক ঘটায়। তারাই অর্ণব গোস্বামীর চ্যানেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বলে অভিযোগ। বার্ক-এর কোনও কর্মী এই বেআইনি কাজে যুক্ত কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনার আবহে খবরের চ্যানেলগুলি মানুষের ভরসার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। দেশ ও দুনিয়ার খবর পাঠক ও দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন সংবাদকর্মীরাও। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। দেশে ও দুনিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, কোথায় করোনা পরিস্থিতি কেমন, করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার কত দূর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্যসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খবর তুলে ধরেছি আমরাই, অর্থাত্ সংবাদমাধ্যম। তবে করোনার এই দুঃসময়ে টাকা দিয়ে টিআরপি কেনার চেষ্টা করেছে রিপাবলিক টিভি। মুম্বই পুলিসের কমিশনার পরম বীর সিং এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, 'হংস' নামে একটি সংস্থা রিপাবলিক টিভি ও দুটি স্থানীয় চ্যানেলকে এমন বেআইনি কাজ করতে পূর্ণ সহায়তা করেছে। 


আরও পড়ুন-  দাঁড়ান, আরও দুর্দিন আসছে! দেশের জিডিপি চলে যাবে খাদের নিচে, ইঙ্গিত বিশ্ব ব্যাঙ্কের


মুম্বই পুলিস জানিয়েছে, রিপাবলিক টিভি, ফক্ত মরাঠি এবং বক্স সিনেমা টাকা দিয়ে টিআরপি কিনেছে। পরম বীর সিং বলেছেন, ''পুরো মুম্বইতে প্রায় ২০০০ ব্যারোমিটার বসানো হয়েছে। টিআরপি কারসাজি করার জন্য কয়েকজন বাড়ি বাড়ি ঘুরে মানুষের হাতে টাকা তুলে দিয়েছে। প্রায় চার-পাঁচশো টাকা করে লোকজনের হাতে দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা অনবরত রিপাবলিক টিভি চালিয়ে রাখেন। হংস নামের সংস্থা সহায়তা করেছে। আমরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছি।'' মুম্বই পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে,  রিপাবলিক টিভির প্রোমোটার ও ডিরেক্টর পদের অধিকারীদের সমন পাঠানো হবে। বাকি দুটি চ্যানেলের মালিকদের আটক করা হয়েছে বলে খবর।