ওয়েব ডেস্ক: সংরক্ষণ নিয়ে ফের শিরোনামে গুজরাট। জেনারেল ক্যাটাগরির এমন মানুষজন, যাঁদের আয় ছ-লক্ষ বা তার কম, এবার সংরক্ষণের আওতায় পড়বেন তাঁরাও। সরকারি চাকরি, কলেজে মিলবে ছাড়। যদিও শুরুর আগেই আইনি গেরোয় এই সিদ্ধান্ত। অসন্তুষ্ট বিরোধীরাও। সংরক্ষণের দাবিতে গত বছর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গুজরাট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেই সময়ই উত্থান হার্দিক প্যাটেলের। উচ্চবর্ণের পতিদার বা জেনারেল ক্যাটাগরির এমন একাধিক সম্প্রদায়কে সংরক্ষণের আওতায় আনার দাবিতে চলে আন্দোলন। তারই রেশ ধরে এবার নয়া ফরমান জারি করল গুজরাট সরকার। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বার্ষিক রোজগার ছ লক্ষের কম, জেনারেল ক্যাটাগরির এমন মানুষও এবার সংরক্ষণের আওতায় পড়বেন। সরকারি চাকরি, কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে দশ শতাংশ সংরক্ষণ মিলবে। ইতিমধ্যে সংরক্ষিত উনপঞ্চাশ দশমিক পাঁচ শতাংশ। এর ওপর অতিরিক্ত যোগ হবে নতুন দশ শতাংশ সংরক্ষণ।   


পয়লা মে থেকেই চালু হয়ে যাবে এই নয়া ব্যবস্থা। শুরুতেই অবশ্য আইনি সঙ্কট দেখা দিয়েছে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পঞ্চাশ শতাংশের বেশি সংরক্ষণের নিয়ম নেই। কিন্তু গুজরাত সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে সংরক্ষণ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ষাট শতাংশে। রাজ্যে এসসি, এসটি, ওবিসি সহ অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণি মিলিয়ে বর্তমানে মোট সংরক্ষণ রয়েছে উনপঞ্চাশ দশমিক পাঁচ শতাংশ। এই সিদ্ধান্তের পুরোটাই লোক দেখানো। অভিযোগ বিরোধীদের। সংরক্ষণ আন্দোলনের পুরোভাগে থাকা হার্দিক গতবছর অক্টোবর থেকে জেলে। তাঁর দলও নাখুশ এই সিদ্ধান্তে।
 
অমিত শাহর উপস্থিতিতে, রাজ্যে বিজেপি কোর কমিটির বৈঠকে সংরক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই তা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যাটেল। গত বছর থেকে লাগাতার বিক্ষোভ-আন্দোলনে এমনিতেই চাপে তাঁর সরকার। রাজ্যে সাম্প্রতিক পুরভোটেও মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। এই অবস্থায় আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে নয়া সংরক্ষণ নীতি, বিজেপির রাজনৈতিক কৌশল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে আইনি দিক থেকে দুর্বল এই সিদ্ধান্ত শুরুতেই ব্যাকফায়ার করে কিনা, তা নিয়েই চলছে জল্পনা।