রাজ্যসভার পর লোকসভাতে পাশ ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রস্তাব
বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৫১টি। ৭২টি পড়েছে বিপক্ষে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যসভার পর লোকসভায় পাশ হয়ে গেল ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রস্তাব। রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হওয়ার পর লোকসভায় সরকারের সামনে কোনও বাধাই ছিল না। ফলে প্রত্যাশিতভাবেই প্রস্তাবটি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনায়াসে পাশ করিয়ে নিতে পেরেছে কেন্দ্রের শাসক দল। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৫১টি। ৭২টি পড়েছে বিপক্ষে। ভোটদানে বিরত থেকেছেন একজন সাংসদ।
জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলও এদিন পাশ হয়েছে লোকসভায়। বিলেপ পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৭০ট। আর বিরোধিতা করে ভোট দিয়েছেন ৭০ জন সাংসদ। বিলটিতে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই জম্মু-কাশ্মীরের চেয়ে আলাদা হয়েছে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পাবে লাদাখ। স্বাধীনতার পর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি করে আসছিলেন লাদাখবাসী। বিলটি পাশ হওয়ায় জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পাবে। জম্মু-কাশ্মীরে অবশ্য দিল্লির মতো থাকবে বিধানসভা। তবে পুলিসের উপরে নিয়ন্ত্রণ থাকবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। তবে লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকবে না।
তার আগে আলোচনায় অমিত শাহ বলেন, 'রাষ্ট্রসঙ্ঘে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে গিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু। ৩৭০ ধারা বিলোপ ঠিক না ভুল সেটা ঠিক করবে ইতিহাস। তবে এনিয়ে আলোচনা হলে নরেন্দ্র মোদীকে মনে রাখবেন মানুষ।' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'কাশ্মীরে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কারণে কারফিউ জারি করা হয়নি। পরিস্থিতির অবনতি যাতে না হয়, সে জন্য এটা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।'
জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন ও ৩৭০ ধারা বিলোপ বিল পাশ হওয়ার পর টুইটারে নরেন্দ্র মোদী ধন্যবাদ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। লেখেন, 'জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের মানুষের উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে কঠোপ পরিশ্রম করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিল পাশে তাঁর দায়বদ্ধতা ও অধ্যবসায় আমরা দেখেছি। বিশেষ ধন্যবাদ দেব অমিত শাহকে।'
জম্মু-কাশ্মীরে নতুন অধ্যায় শুরু কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের ভাই-বোনেদের স্যালুট করছি। দীর্ঘদিন ধরে আবেগের ব্ল্যাকমেইল করে উন্নয়ন আটকে রেখেছিল স্বার্থাণ্বেষীরা। সাধারণ মানুষের উন্নতি নিয়ে ভাবেনি তারা। সবরকম শিখল থেকে মুক্ত জম্মু-কাশ্মীর। নতুন ভোর ও উন্নত আগামী অপেক্ষারত।'
সোমবার রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রস্তাব। তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় কাশ্মীরের ভাগ্য। লোকসভায় মোদী সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেখানে প্রত্যাশিতভাবে সহজেই পাশ হয়েছে বিল ও প্রস্তাব।
আরও পড়ুন- ৩৭০ অপব্যবহার করে পণ্ডিত-বৌদ্ধদের খতম করেছেন, কোথায় ছিল সেকুলারিজম: লাদাখের সাংসদ