নিজস্ব প্রতিবেদন: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বশাসনকে সম্মান করা উচিত। শীর্ষ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্যের সুরেই কার্যত সুর মেলালেন প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। এক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে মঙ্গলবার রাজন বলেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রের সঙ্গে যে যুযুধান তৈরি হয়েছে, তা মিটতে পারে যদি স্বায়ত্তশাসন এবং ভাবনার পারস্পরিক সম্মান করে দুই পক্ষ।” গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের পূর্বসূরী আরও বলেন, “দেশের স্বার্থে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বায়ত্তশাসনকে সম্মান জানানো উচিত।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- রাহুল ঝড়ে দুর্গ ভাঙল বিজেপির, কংগ্রেস-জেডিএস ৪, রক্ষা পেল ইয়েদুরাপ্পার আসন


উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য মন্তব্য করেন, স্বাশাসন প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মে কেন্দ্র ধারাবাহিকভাবে হস্তক্ষেপ করলে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। বিরলের এই নজিরবিহীন মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, প্রকাশ্যে এভাবে মন্তব্য যে কোনও প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ক্ষতিকারক। তবে, সময় যত গড়াতে থাকে কেন্দ্র এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিবাদ আরও গভীর হয়।


আরও পড়ুন- সোপিয়ানে হিজ়বুলে যোগ দেওয়া এক জওয়ান-সহ ২ জঙ্গিকে নিকেষ করল সেনা


রাষ্ট্রায়ত্ত ১১টি ব্যাঙ্কের উপর কড়া ঋণনীতি পদক্ষেপ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অনাদায়ি ঋণ যতক্ষণ না ব্যাঙ্কগুলি ফেরাতে পারছে, ততক্ষণ নগদ ঘাটতি মেটাবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এমনকি উর্জিত প্যাটেল জানিয়ে দেয়, কেন্দ্র রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয় এমন সংস্থাগুলিকে অর্থ দিয়ে নগদ সমস্যা মেটাতে পারে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভোটের মুখে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই অবস্থান যথেষ্ট বিপাকে ফেলেছে কেন্দ্রকে। সূত্রের খবর, শীর্ষ আদালত বেঁকে বসলে নিয়ন্ত্রণে আনতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করতে পারে কেন্দ্র। অর্থাত্ সে সময় কার্যত কেন্দ্রের নির্দেশে চলবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।