নয়া দিল্লি: দলের রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি থেকে যোগেন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত ভূষণকে ছেঁটে ফেলার পক্ষে মত দিয়েছিলেন আম আদমি পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা সদস্যরাই। কিন্তু, সূত্রে খবর এই দু'জনের অপসারণের পিছনে আসল কলকাঠিটা নেড়েছেন পার্টি সুপ্রিমো স্বয়ং অরবিন্দ কেজরিওয়াল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবারের বৈঠকে এই দু'জনের পক্ষে গিয়েছিল ৮টি ভোট। বিপক্ষে ছিল ১১টি। অর্থাৎ ভূষণ ও যাদবের বিরুদ্ধে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথা বলা হয়েছিল বাস্তব চিত্রটা কিন্তু ততটাও বিপ্রতীপ ছিল না। আর এখানেই মোক্ষম চালটি দেন কেজরিওয়াল। বলেন প্রশান্ত ভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদবকে না সরালে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করবেন না তিনি।


সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছিল নতুন করে গঠন করা হবে রাজনীতি বিষয়ক কমিটি। যেখানে নিজে থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন না প্রশান্ত ভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আপ নেতা বলেছেন ''এভাবে হয়ত অনেক সম্মানজনক পথে এই দুজনের অপসারণ সম্ভব ছিল। কিন্তু দলের কেউ কেউ দলের মধ্যে বিরুদ্ধ মত প্রকাশের 'শাস্তি' স্বরূপ এই দুজন কে কড়া বার্তা দিতে চেয়ে ছিলেন।''


২১ সদস্যের জাতীয় এক্সিকিউটিভ কমিটির পক্ষ থেকে মণীশ সিসোদিয়া এই দু'জনকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব আনেন। সঞ্জয় সিং তাঁকে সমর্থন করেন। এই কমিটিই কেজরিওয়ালের পদত্যাগ পত্র প্রত্যাখ্যান করে।


দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টির মধ্যে ৬৭টি আসন দখল করে রাজধানীর তখতে বসার ১ মাসের মধ্যেই টিম কেজরির সঙ্গে যোগেন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত ভূষণের মতপার্থক্য প্রকাশ্যে চলে আসে।


সূত্রে খবর 'পিএসি'-তে দলের অন্যতম এই দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে চাই ছিলেন না কেজরিওয়াল। তিনি দলে আরও 'স্বাধীন' ভাবে কাজ করতে উৎস্যুক ছিলেন।


রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি থেকে ভূষণ ও যাদবের বিদায় জোরদার করল আপ-এ কেজরিওয়ালের ক্ষমতাই।