নিজস্ব প্রতিবেদন: জিরো আওয়ারে ঝড়ের গতিতে ব্যাটিং করলেন রাজ্যসভার 'সিপিএম সাংসদ' ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজ্যসভায় তৃণমূল সরকারের দাবি নিয়েই সরব হলেন মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা বাকপটু ঋতব্রত। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (২৩ জানুয়ারি) জন্মদিনকে দেশপ্রেম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হোক এবং ওই দিনকে জাতীয় ছুটির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হোক, রাজ্যসভায় এই দাবিই জানালেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদী হলেও, 'বিশ্বভারতীর আচার্য' আজও মনমোহন সিং! 


ঋতব্রতর 'অকমিউনিস্টসুলভ' জীবন যাপন এবং এই 'বৈভব' দেখে রুষ্ট হয়েছিল দল সিপিআই (এম)। পরে সিপিএম পলিটব্যুরো মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে কথা বলে দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগেও অভিযুক্ত হয়েছেন এই তরুণ নেতা। এরপরই দল তাঁকে বহিষ্কারের সিন্ধান্ত নেয়। তবে সিপিএমের সঙ্গে ঋতব্রতর পাকাপাকি বিচ্ছেদ হলেও রাজ্যসভায় এখনও তাঁর পরিচয় তিনি 'সিপিএম সাংসদ'। দলের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার ঋতব্রত জানিয়েছেন তিনি বাংলার হয়ে কাজ করবেন। আর সেই কারণেই 'আইকনিক বোস'কেই পাকড়াও করেছেন এই তরুণ সাংসদ, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। 


আরও পড়ুন- "এই দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করতে চাননি"


স্বাধীনতা সংগ্রাম রুক্ষ ভূমি থেকে নেতাজির 'জার্নি টু জার্মানি', আজাদির লড়াইয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজের ভূমিকা, আন্দামান-নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের 'শহিদ' এবং 'স্বরাজ' নামকরণ- সার্বিক ভাবে সুভাষচন্দ্র বোসের বীরগাঁথাই এদিন শীতকালীন অধিবেশনে তুলে ধরেন ঋতব্রত। একই সঙ্গে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবির কথাও সংসদের উচ্চকক্ষে পেশ করেন এই একদা বাম ছাত্রনেতা। উল্লেখ্য, নেতাজির জন্মদিন অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি দিনটিকে 'দেশপ্রেম দিবস' হিসেবে মান্যতা দেওয়া হোক এবং ওই দিন জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হোক, এই দাবি অনেক আগেই কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মমতার সেই দাবিকেই রাজ্যসভায় তুলে ধরলেন ঋতব্রত।