রোহটাক: মানসিক ভারসাম্যহীন এক নেপালি মহিলাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিস। এখনও খোঁজ চলছে আর এক অভিযুক্তর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই ঘটনায় সারা দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে হরিয়াণা পুলিস।


হরিয়াণার ডিজিপি যশপল সিঙ্ঘল সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন অভিযুক্ত প্রত্যেকেরই বয়স কুড়ির কোটায়।


জিনি বলেছেন ''এই মামলার সমাধান হয়ে গেছে। ৯ অভিযুক্তের মধ্যে ৮ জনই এখন পুলিসের জালে। রোহটাক থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে গাড্ডিখেরা গ্রাম থেকে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।''


সিঙ্ঘল জানিয়েছেন গ্রেফতার হওয়া যুবকদের মধ্যে একজন নেপালি, নাম সন্তোষ।


অন্য অভিযুক্তরা হল রাজেশ ওরফে ঘুচাদু, সুনীল ওরফে শীলা, সরবর ওরফে বিল্লু, মনবির, সুনীল ওরফে মাধা, পবন, প্রমোদ ওরফে পদম।


পুলিসের দাবি অভিযুক্তরা গ্রেফতারির পর প্রত্যেকেই নিজেদের অপরাধ কবুল করে নিয়েছে।


প্রাথমিকভাবে এই ঘটনায় হরিয়াণা পুলিসের উদাসীনতা প্রবল সমালোচনার সম্মুখীন হয়।


হরিয়াণার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের দাবি ''যদিও অভিযুক্তদের ধরতে পুলিস ৯ দিন লাগিয়ে দিয়েছে, তাও বলবে পুলিসের পক্ষে এটি একটি বিরাট সাফল্য। প্রাথমিকভাবে প্রায় অন্ধকারে তদন্ত শুরু করে পুলিস। পুলিস যথেষ্ট দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নিয়েছে।''


২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরে 'নির্ভয়া' ধর্ষণকাণ্ডের ভয়াবহতা আরও একবার মনে করিয়ে দিল। নেপালের বাসিন্দা ২৮ বছরের মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলাকে নৃশংস ভাবে গণধর্ষণের পর খুন করে রোহটাক-হিসার হাইওয়েতে ফেলে রেখে যায় দুষ্কৃতীরা।


ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে ওই মহিলার উপর ঠিক কতটা নৃশংহস অত্যাচার করা হয়েছিল। ক্ষতিবিক্ষত করে দেওয়া হয় যৌনাঙ্গ। নিগৃহীতা মহিলার পাকস্থলী থেকে থেকে পাথকের কুঁচি ও ব্লেড পাওয়া গেছে।


নিগৃহীতা মহিলা গত ৩ মাস ধরে বোনের সঙ্গে রোহটাকে থাকছিলেন। হরিয়াণার পোস্ট গ্র্যাডুয়েট ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে তাঁর চিকিৎসা চলছিল।


নিগৃহীতার বোন গত ১ ফেব্রুয়ারি পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি আকবরপুর গ্রাম থেকে ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।