ওয়েব ডেস্ক: ফ্রন্টে কোণঠাসা RSP। আলিপুরদুয়ারে শরিক RSPকে বাইরে রেখে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিল বাকি বাম শরিকরা। একই সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে মুর্শিদাবাদের একাধিক আসনে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একজন বন্ধু। আরেকজন ভোটের সখা। একজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। অন্যজন ভোটের সাথী  বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে। তবে শেষপর্যন্ত ভোটের সখারই হাত ধরল সিপিএম। আলিপুরদুয়ারে RSP কে ছেড়ে কংগ্রেসের বিশ্বরঞ্জন সরকারের হয়েই ভোটের ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। 


এবারের ভোটে বাম-কংগ্রেস জোটে  অন্যতম প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় RSP-র ভূমিকাকে কেন্দ্র করেই। চারটির বেশি আসন কোনওভাবেই ছাড়তে রাজি হয়নি তারা। এমনকি মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের জেতা আসনেও প্রার্থী দেয় RSP। আলিপুরদুয়ারেও একই ছবি। এনিয়ে ফ্রন্টের একাধিক বৈঠক , দ্বিপাক্ষিক আলোচনা, কংগ্রেসের তরফে অনুরোধ কোনকিছুতেই বরফ গলেনি। এই পরিস্থিতিতে আলিপুরদুয়ারে RSP কে ছেড়ে কংগ্রেসের সঙ্গে হাঁটারই সিদ্ধান্ত নিল CPM।  দীর্ঘদিনের বন্ধুর এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ RSP।


জোটের প্রয়োজনেই যে এমন সিদ্ধান্ত, একান্ত আলাপচারিতায় মানছেন সিপিএম নেতারা। তবে প্রকাশ্যে ঢাকতে পারছেন না অস্বস্তি।  শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার নয়। মুর্শিদাবাদের চেহারাটাও একইদিকে যাচ্ছে। এই জেলাতেও জোট বাঁচাতে  পাঁচটি আসনে সিপিএমের নেতৃত্বে অন্য বাম শরিকরা দাঁড়াচ্ছে কংগ্রেসের পাশেই ।  রাজনৈতিক মহলের ধারণা ভোট যত এগোবে বিভিন্ন আসনে ততই বাড়বে এই প্রবনতা।


RSP -কে ছেড়ে কংগ্রেসের কাঁধে হাত কেন? আসলে বেশির ভাগ জেলাতেই RSP-র অনমনীয় মনোভাব  মানতে নারাজ নিচুতলার বামকর্মীরা। RSP-ও জোট ভেঙে এমন সব আসনে লড়ছে যেখানে কখনই আগে জেতেনি তারা। তাহলে কেন প্রার্থী দেওয়া, এই প্রশ্ন তুলছেন অন্য বাম শরিকরাই। বাম শরিকদের একটা বড় অংশের বক্তব্য, নন্দীগ্রাম থেকে সিঙ্গুর ইস্যুতে RSP-র ভূমিকা যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছিল ফ্রন্টকে।  এবারও আসন ইস্যুতে RSPর অনমনীয় মনোভাবের পিছনে অন্য অঙ্ক দেখছে সিপিএম।


ফ্রন্টে থেকেও RSP তাই এখন অনেকটাই একঘরে। আলিমুদ্দিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন জেলায় সিপিএম নেতাকর্মীদের একটা বড় অংশ চান  RSP-র একার শক্তি কত তা যাচাই হয়ে যাক এবারের ভোটে।