নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু-কাশ্মীরের কিস্তওয়ারের হাসপাতালে জঙ্গিহানার জেরে নিহত হলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতা চন্দ্রকান্ত শর্মার। মঙ্গলবার সকালে ওই হামলা হয়। হামলার সময় ঘটনাস্থলেই জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন ওই নেতার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সেই হামলায় ওই RSS নেতা গুরুতরভাবে জখম হন। হাসপাতালেই তাঁর চিকিত্সা শুরু হয়। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জম্মু সিটি হাসপাতালে। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বিজেপি নেতা সুনীল শেঠী এই খবর দিয়েছেন।


কিস্তওয়ারের একটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন চন্দ্রকান্ত শর্মা। মঙ্গলবারও তিনি সেই কাজে ওই হাসপাতালে গিয়েছিলেন। হাসপাতালের ভিতরেই তাঁর উপর জঙ্গিরা হামলা চালায়। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, জঙ্গিদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। আচমকাই চন্দ্রকান্ত শর্মা ও তাঁর নিরাপত্তা আধিকারিককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ওই হামলাতেই নিহত হন ওই নিরাপত্তা আধিকারিক।


আরও পড়ুন: কাশ্মীরে RSS নেতার উপর জঙ্গিহানা, নিহত এক পুলিসকর্মী


এই ঘটনার পর কিস্তওয়ারে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একটি সংবাদসংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে সেনাকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে।


তবে এই প্রথম নয় এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বছরখানেক আগে এই কিস্তওয়ারের বিজেপির জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ সম্পাদক অনিল পরিহার ও তাঁর ভাই অজিতের উপর জঙ্গিহানা হয়েছিল।


আরও পড়ুন: বিজেপির ইস্তেহারকে ‘বিচ্ছিন্ন ব্যক্তির কণ্ঠস্বর’ বলে কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধী


সেদিনও অনিল ও তাঁর ভাই অজিতকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। হামলায় নিহত হয়েছিলেন ওই দুজনেই। এলাকায় অশান্তি তৈরি করতেই ওই হামলা হয়েছিল। সেদিনের ঘটনার পর কারফিউ জারি করা হয়েছিল।


জম্মু-কাশ্মীরে রাজনৈতিক নেতাদের উপর এর আগে একাধিকবার হামলা হয়েছে। শুধু বিজেপি নয়, হামলার শিকার হয়েছে পিডিপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স। দুই কর্মী মারাও গিয়েছে জঙ্গি হামলার জেরে।