নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথমবার নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে অযোধ্যা। যোগীর রাজ্যে বৃহস্পতিবার সরযূ নদীর তীরে নমাজ ও কোরাণ পাঠের ব্যবস্থা করতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সংখ্যালঘু শাখা রাষ্ট্রীয় মুসলিম মঞ্চ। ওই অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে থাকবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সরযূ নদীর তীরে হরি কি পৈড়ি ঘাটে নমাজ ও কোরাণ পাঠের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চলেছেন প্রায় ১৫০০ মৌলবি ও সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবীরা। সঙ্ঘের এই কর্মসূচির অয়োজনের সহযোগিতা করছে যোগী সরকারও। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও আরএসএস নেতা মুরারি দাস। রাষ্ট্রীয় মুসলিম মঞ্চের রাজা রিজভি বলেন,''সরযূর জলে ওজু করবেন মুসলিম বুদ্ধিজীবী ও মৌলবিরা। এরপর দেশে শান্তি, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের লক্ষ্যে নমাজ পাঠ করবেন তাঁরা। নমাজের পর রয়েছে কোরাণ পাঠের আসর।''    


অযোধ্যায় রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ মামলার দ্রুত শুনানির দাবি করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ২ মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি না হলে দেশজুড়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। সেপ্টেম্বরে জন্মাষ্টমীর দিন থেকে প্রচারে নামছে ভিএইচপি ও বজরং দল। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈনের কথায়, ''২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত মামলাটি স্থগিত করতে চাইছে বিরোধীরা। কিন্তু রাম মন্দির হিন্দুদের অধিকার। দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে সুপ্রিম কোর্টকে। ৫০০ বছর ধরে অপেক্ষা করছেন হিন্দুরা। এবার অগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষার পর বিষয়টি সন্ত সমাজের উপরে ছেড়ে দেব। তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই মেনে নেব।'' এই প্রেক্ষাপটে অযোধ্যায় আরএসএসের উদ্যোগে কোরাণ পাঠের ব্যবস্থা তাত্পর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের।


অনেকে আবার বলছেন, শুধুমাত্র হিন্দুত্ব দিয়ে ২০১৯ সালে মোদীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। সংখ্যালঘু ভোটও দরকার। সংখ্যালঘুদের মন জিততেই এই কোরাণ পাঠের ব্যবস্থা। কিন্তু অযোধ্যাকেই কেন বেছে নেওয়া হল? অভিজ্ঞমহলের মতে, অযোধ্যায় রাম মন্দির নিয়ে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার অভিযোগ উঠেছে সঙ্ঘ পরিবারের সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে। সেই ধারণা ভাঙতেই 'রাম জন্মভূমিকে'ই বেছে নিল আরএসএস। 


আরও পড়ুন- জন্মাষ্টমীতে রাম মন্দির নির্মাণের দাবিতে বঙ্গে প্রথমবার ঝাঁপাতে চলেছে ভিএইচপি-বজরং