নিজস্ব প্রতিবেদন: গত রবিবার কৃষিবিল নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্যসভা। সরকার পক্ষ ধ্বনিভোটে বিলটি পাস করিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু বিরোধীরা বিলটির পক্ষে-বিপক্ষে ভোট চাইছিলেন। কেউ কেউ ডেপুটি চেয়ারম্যানের কাছে এসে বিলটির প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। কিন্তু অধিকাংশ সাংসদই তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট করা সিট থেকেই প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। নিয়ম হল, কোনও বিলের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট চাইতে হলে সেই দাবি সংশ্লিষ্ট সাংসদকে তাঁর জন্য নির্দিষ্ট সিট থেকেই জানাতে হবে। সেই নিয়মের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েই ডেপুটি চেয়ারম্যান প্রতিবাদীদের প্রতি টানা বলে চলেছিলেন, আপনারা নিজেদের সিটে যান। ঘটনা হল, বিরোধীরা কেওস করায় সংসদের কার্যক্রম ভেস্তে যায়, কিছুক্ষণের জন্য সভা মুলতুবিও হয়ে যায় বলেই মূলত শোনা যাচ্ছিল। সরকার পক্ষের পালেই ছিল হাওয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু আজ একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক তাদের প্রথম পাতায় এ সংক্রান্ত একটি সাড়া জাগানো খবর করেছে। যে-খবরে দেখানো হয়েছে, সেদিনের রাজ্যসভার চেহারা নিয়ে রাজ্যসভা টিভি যে ফুটেজ দিচ্ছে, তার সঙ্গে ডেপুটি চেয়ারম্যানের সাক্ষ্য মিলছে না। কেননা, বিলটির প্রতিবাদে আগে-পরে যা-ই হোক, ভোট চাইবার সময়ে যে বিরোধীরা সিটেই ছিলেন, রাজ্যসভা টিভির ফুটেজে থেকে তা পরিষ্কার। তা হলে, কে ঠিক, কে ভুল? একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলও সেদিনের ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ করেছে এবং তারাও একই প্রশ্ন তুলছে।


এই বিষয়টিই তুলে ধরে তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর একটি ক্ষুরধার টুইটে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে যা বলেছেন, তার মর্মার্থ হল: সংসদে জনপ্রতিনিধিদের যে ভাবে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে সেটা সকলেই দেখছে, জানছে। কিন্তু একদিন প্রতিবাদীরা জেগে উঠবেই। এবং এখনই প্রতিবাদের বন্যা বয়ে যাচ্ছে দেশ জুড়ে। কী ভাবে মোদীজি এই বিপুল দারুণ প্রতিবাদকে থামাবেন, বলে প্রশ্নও করেছেন তিনি।


এ কথা ঠিক যে, দেশ জুড়ে কৃষিবিল নিয়ে দারুণ আকারে প্রতিবাদ চলছে। এই ইসুতে শিরোমণি আকালি দল বেরিয়েই গেল সরকার পক্ষ ছেড়ে। উত্তর ভারত জুড়ে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন কৃষকেরা। এই সময়ে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান যদি প্রকৃত সত্য গোপন করতে চান, তবে তা তাঁর পক্ষে নিশ্চয়ই কঠিন হবে, অশোভনও হবে এমনই ধারণা বিরোধীদের।