ওয়েব ডেস্ক : হাতে হাতে মোবাইলের মতই এখন জরুরি পাওয়ার ব্যাঙ্ক। কিন্তু বিমান যাত্রায় কীভাবে নেবেন পাওয়ার ব্যাঙ্ক? বিভ্রান্তি তা নিয়েই। একেক বিমান বন্দরে একেক রকম নিয়ম। আর সেই নিয়মের ফাঁসেই সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সরকারি কাজ সেরে দিল্লি থেকে ফিরছিলেন বর্ধমানের ADM  নিখিল নির্মল। সেখানেই চরম হেনস্থার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। ইন্ডিগোর বিমানে টিকিট কাটা ছিল IAS নিখিল নির্মলের। দিল্লি বিমানবন্দরে বোর্ডিং পাসও পেয়ে যান। কিন্তু বোর্ডিং গেটে আটকে দেওয়া হয় নিখিলকে। বলা হয় নিষিদ্ধ কোনও বস্তু রয়েছে তাঁর লাগেজে। তাঁকে কার্গো সেকশনে যেতে বলা হয়। নিখিল নির্মলকে জানানো হয় পাওয়ার ব্যাঙ্ক রয়েছে তাঁর লাগেজে। তা নিষিদ্ধ। বোর্ডিং পাস পেয়ে গেলেও বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। রাতে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অন্য বিমানে ফেরেন এই IAS। হেনস্থার প্রতিবাদে DGCA-কে চিঠি দিয়েছেন নিখিল নির্মল। কনজিউমার ফোরামেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।


ফোনের পাওয়ার ব্যাঙ্ক আজকের দিনে খুবই জরুরি। তাহলে কোথায় কীভাবে নেবেন পাওয়ার ব্যাঙ্ক? তা নিয়েই চরম বিভ্রান্তি। কারণ দেশের একেক বিমান বন্দরে একেক নিয়ম। নিয়ম বলছে, কেবিন লাগেজ বা হ্যান্ড লাগেজে পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিতে হবে। চেক-ইন লাগেজে তা পাঠানো যাবে না। কারণ কার্গো সেকশনে পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিলে আগুন লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর এই নিয়ম ঘিরেই সমস্যা।


কলকাতা বিমান বন্দরে শুরুতেই চেকিং করা হয়। তার পর বোর্ডিং পাস দেওয়া হয়। অন্যদিকে, দিল্লি, মুম্বই সহ বিভিন্ন বিমানবন্দরে বোর্ডিং পাস নেওয়ার আগে চেকিং হয় না। ফলে নিখিল নির্মলের মতোই সমস্যায় পড়েন বহু যাত্রী। নিয়মে রয়েছে ক্যাবিন লাগেজে পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিতে হবে। কাশ্মীর থেকে কেবিন লাগেজ নেওয়ার অনুমতি নেই। সেখানে পাওয়ার ব্যাঙ্ক কোথায় নেওয়া হবে?এ প্রশ্নগুলির এখনই সমাধান হয়নি। ফলে মাঝে মধ্যেই সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা।


আরও পড়ুন, বিমানবন্দরে চালু হতে পারে 'বায়োমেট্রিক' নিরাপত্তা ব্যবস্থা