নিজস্ব প্রতিবেদন: টাকার দর পতন অব্যাহত। গতকাল ৪৯ পয়সা আর আজ ২৩ পয়সা পড়ল। প্রতি দিনই নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে ডলার নিরিখে টাকার দর। গতকাল টাকা দর ছিল ৭০.৫৯টাকা। বৃহস্পতিবার বাজার খুলতেই ২৩ পয়সা বেড়ে পৌঁছয় ৭০.৮২ টাকা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক জঙ্গি সালাউদ্দিনের ছেলেকে গ্রেফতার করল এনআইএ


বিশ্ব বাজারে মন্দার দোহাই দিয়ে টাকার পতনে য়তই নানা যুক্তি খাঁড়া করুক না কেন্দ্র, এই মুহূর্তে টাকার দাম বাড়ার কোনও লক্ষণই দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। কারণ, চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তেলের দাম তড়তড়িয়ে বাড়ছে। ডলারের দাম বাড়ায় আরও বেশি ট্যাঁকের কড়ি খরচ করে তেল আমদানি করতে হচ্ছে ভারতকে। যার ফলে মুদ্রাস্ফীতিও বেড়ে চলেছে। কেন্দ্রের আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গ জানিয়েছিলেন, তুরস্কের আর্থিক দুরাবস্থার কারণে টাকায় প্রভাব পড়েছে। এটা সাময়িক বিষয়। দ্রুত সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা গর্গের এই মন্তব্যে আশ্বস্ত হতে পারছেন না।


আরও পড়ুন- সরকারের নির্দেশ না মানলে কড়া ব্যবস্থা, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিকে বার্তা কেন্দ্রের


বাণিজ্য যুদ্ধে তেল উত্পাদনকারী দেশগুলির উপর কড়া মার্কিন নীতির জেরে বেশি প্রভাব পড়ছে জ্বালানি তেলের।  তুরস্কের ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামে চড়া আমদানি শুল্ক বসিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে দেশের মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে তড়তড়িয়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যাঙ্কের সুদ বাড়ানোর পথে হাঁটতে চাইছে না এর্দোয়ান সরকার। ইরানের উপর মার্কিন আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জেরে ধাক্কা খেয়েছে তেলের বাজারে। পাশাপাশি ভেনেজুয়েলাতেও চরম আর্থিক দুরাবস্থার মুখে।  বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব বাজারে জ্বালানির তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিয়ন্ত্রণে নেই ডলার নিরিখে টাকার দামও।