নিজস্ব প্রতিবেদন: ইনজেকশনে নেশার ওষুধ, ইলেকট্রিক শক দিয়ে খুনের দায় স্বীকার করতে বাধ্য করেছিল পুলিস! এমনটাই দাবি করলেন প্রদ্যুম্ন হত্যাকাণ্ডের জামিনে মুক্ত অশোক কুমার।
গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল হত্যাকাণ্ডে পুলিসের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই তদন্তে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করছিল সিবিআই। গত ৮ সেপ্টেম্বর স্কুলের ভিতরেই খুন হয় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর। ঘটনার তদন্তে নেমে সেদিনই স্কুলের বাস কন্ডাক্টরকে গ্রেফতার করে হরিয়ানা পুলিশ। তবে ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যেতেই ছবি বদলে যায়। সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা জানান, অশোক নন, খুন করেছে স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। তাকে বাঁচাতেই অশোককে পুলিশ ফাঁসিয়েছে বলেও জানায় সিবিআই। হরিয়ানা পুলিশের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার প্রস্তাবও দেয় তারা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: "বন্দেমাতরম বলুন, নইলে কুপিয়ে মারব", হেনস্থা দলিত লেখককে


দীর্ঘ ২ মাস কারাবাসের পর মঙ্গলবার গুরুগ্রামের আদালত থেকে জামিন পান অশোক। ৫০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁকে জামিন দেন বিচারক। অশোকের জামিনের টাকা জোগাড় করেন গ্রামবাসীরাই। বুধবার জেল থেকে মুক্তি পান অশোক। সন্ধ্যায় বাড়ি পৌঁছে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, কী নৃশংস অত্যাচার চলেছে তাঁর ওপরে। 
অশোকের দাবি, অপরাধ কবুল করানোর জন্য তাঁকে বিদ্যুতের শক দিতেন পুলিশ আধিকারিকরা। উলটো করে ঝুলিয়ে পেটানো হয়েছে তাঁকে। এমনকী নেশার ওষুধের ইনজেকশন দিয়েও তাঁর কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা হয়।  


আরও পড়ুন: 'পদ্মাবতী' বিতর্কে ভোলবদল করণি সেনার, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মেবার রাজপরিবার
অশোকের দাবি পুলিসের বিরুদ্ধে তদন্তেকে ভুল পথে চালিত করার যে অভিযোগ সিবিআই করেছিল তাতেই শিলমোহর পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। অশোক কুমারের জামিনের পর সংবাদমাধ্যমকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু যেভাবে পুলিশ হেফাজতে তাঁর স্বামীর উপর অত্যাচার চলেছে তার বিচার চেয়েছেন তিনি। 
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অশোক সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, ঘটনার দিন বাথরুমে হস্তমৈথুন করছিল একদাশ শ্রেণির ওই ছাত্র। প্রদ্যুম্ন তা দেখে ফেলায় তাকে খুন করা হয়েছে।