ছাত্র মৃত্যুতে আসল অপরাধীর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ গুরুগ্রামে
ওয়েব ডেস্ক: রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল দিল্লি লাগোয়া গুরুগ্রাম। শনিবার অভিভাবকদের বিক্ষোভে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় স্কুল চত্বর। স্কুলের পাশে একটি মদের দোকানে ভাঙচুর চালান উত্তেজিত অভিভাবকরা। পুলিশের লাঠিচার্জে আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম।
রবিবার স্কুলের কাছেই একটি মদের দোকানে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় মদের দোকানটিতে। স্কুল ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে কর্মরত সাংবাদিকরাও রক্ষা পাননি। অভিভাবকদের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও বেধড়ক পেটায় হরিয়ানা পুলিশ। সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর করেন পুলিশ কর্মীরা।
শুক্রবার রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বাথরুমে সাত বছরের ছাত্রের দেহ মেলে। গলা কেটে হত্যা করা হয়েছিল তাকে। পাশেই পড়েছিল ধারালো ছুরি। স্কুলে পৌঁছনোর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই দুঃসংবাদ পৌঁছয় বাড়িতে। ঘটনায় স্কুলেরই বাস কনডাক্টরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, যৌন নির্যাতনে বাধা দেওয়ায় ওই বালককে খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে সে। যদিও তা মানতে নারাজ অভিযুক্তের পরিবার। তাদের দাবি, ঘটনা ধামাচাপা দিতে পুলিশকে ঘুষ দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার পরই মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। একই কথা বলছেন অভিভাবকদের একাংশও। শান্তির আহ্বান করে পুলিশের কাছে আসল অপরাধীকে খুজে বার করার দাবি জানিয়েছে নিহত শিশুর পরিবার।
আরও পড়ুন, 'যৌন নির্যাতনের চেষ্টা', গলার নলি কেটে স্কুলের মধ্যেই খুন ৭ বছরের ছাত্র