নিজস্ব প্রতিবেদন— মানুষ তো কোন ছাড়! করোনার থাবায় বিপাকে পড়েছেন ভগবানও। ভক্তদের দেখা নেই। প্রণামী আসছে না। লকডাউনের বাজারে এক পয়সাও উপার্জন হচ্ছে না দেশের অন্যতম ধনী মন্দির কর্তৃপক্ষের। দক্ষিণ ভারতের বহু মন্দিরের যাবতীয় কার্যকলাপ পরিচালনা করে The Travancore Devaswom Board (TDB). তারা এবার তাদের সাড়ে তিন হাজার কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছে, আগামী মাসে মাইনে কাঁটছাট হতে পারে। কারণ, মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে ফান্ড নেই। সঞ্চিত অর্থ দিয়ে কদিন আর চলবে! কেরালার সবরীমালা মন্দির কর্তৃপক্ষ আবার অন্য পথে প্রণামী অর্জনের চেষ্টা চালাবে বলে ঠিক করেছে। তারা এবার ভক্তদের জন্য আনছে ডিজিটাল পুজো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অনলাইনে দেওয়া যাবে পুজো। করোনার জেরে সারা দেশে লকডাউন চলছে। আপাতত ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে বলে জল্পনা চলছে। তেমনটা হলে দীর্ঘদিন আয়ের পথ বন্ধ থাকবে বলে আশঙ্কা করছে সবরীমালা মন্দির কর্তৃপক্ষ। কারণ, লকডাউনের সময় কেউই আর সশরীরে এসে মন্দিরে পুজো দিতে পারবেন না। ফলে প্রণামী জমা পড়ারও প্রশ্ন নেই। অগত্যা অনলাইনে পুজো দেওয়ার পথ বের করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অর্চনা, গণপতি হোমাম ও নিরঞ্জনমের মতো পুজোর আচার যে কেউ বাড়িতে বসেও করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে পুজোর জন্য প্রণামী সংগ্রহ করা হবে ভক্তদের থেকে। সেটাও অনলাইনেই হবে।


আরও পড়ুন— বিড়ালের গলায় ঘণ্টাটা প্রথম বাঁধলেন নবীনই, ওড়িশায় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত হল লকডাউন


কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানায় তাদের প্রচুর ভক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছে শবরীমালা কর্তৃপক্ষ। ১৮ মার্চ শেষবার শবরীমালায় পুজো হয়। সেদিনও প্রশাসনের ভিড় না জমানোর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৪ হাজার মানুষ শবরীমালায় এসেছিলেন। এপ্রিল মাসে সেখানে ভিশু উত্সব হওয়ার কথা। কিন্তু আপাতত সেসব বন্ধ। এছাড়া মার্চের শেষদিকে আরও একটি দশদিনের উত্সব হওয়ার কথা ছিল সেখানে। করোনার প্রকোপে সেটিও বাতিল করা হয়েছে।