নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ থেকে ১১-১২ বছর আগে দেশের দুই তরুণ সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারই চাকরি করতেন মার্কিন ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন-এ। সে সময় পরস্পরকে তাঁরা সে ভাবে চিনতেনও না। কিন্তু স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করার ভাবনাই দু’জনকে এক জায়গায় নিয়ে আসে। ২০০৭ সালে সেই দুই তরুণের হাত ধরে পথ চলা শুরু করে ভারতের বৃহত্তম ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট। বর্তমানে এই সংস্থার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২ হাজার কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। সচিন বনসল আর বিনি বনসল— ফ্লিপকার্ট-এর দুই প্রতিষ্ঠাতার নেতৃত্বেই সাফল্যের আকাশ ছুঁয়েছে ই-কমার্স সংস্থাটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ফ্লিপকার্টের ৭৭ শতাংশ শেয়ার কিনছে ওয়ালমার্ট!


বুধবার ১৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ফ্লিপকার্ট-এর ৭৭ শতাংশ শেয়ার কেনার সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিয়েছে মার্কিন সংস্থা ওয়ালমার্ট। এই চুক্তিকে ‘ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন বিনি বনসল। ওয়ালমার্ট-এর প্রেসিডেন্ট ডাগ ম্যাকমিলানও এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতের বিরাট খুচরো ব্যবসার বাজার দখলের বিষয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু এত বড় অঙ্কের চুক্তিতে সামিল হচ্ছে ফ্লিপকার্ট, ঠিক তখনই সংস্থা থেকে নিজেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন সচিন বনসল। ওয়ালমার্ট চুক্তি নিশ্চিত হওয়ার পর পরই ফ্লিপকার্ট ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা ৩৬ বছর বয়সী সচিন বনসল।


কেন এই ছন্দপতন ঘটল? কোনও ক্ষোভ কী লুকিয়ে রয়েছে এর পেছনে?


নিজের ফেসবুক পেজে তাঁর আবেগঘন বিদায়-বার্তায় কোনও ক্ষোভ নয়, বরং ভবিষ্যতে ফ্লিপকার্ট আরও উন্নতি কামনা করেছেন সচিন। ওয়ালমার্ট চুক্তির পর ফ্লিপকার্ট-এর ভবিষ্যত এখন আরও সুদৃঢ়, আরও উজ্জ্বল। তাই নিজের বিদায়-বার্তায় সচিন লিখলেন, “দীর্ঘ ১০ বছর পর আমার কাজ শেষ হল। এ বার ব্যাটন অন্যের হাতে দিয়ে ফ্লিপকার্ট থেকে আমার বিদায় নেওয়ার পালা।”



“কিন্তু বাইরে থেকলেও আমি নজর রাখব, উত্সাহ দেবো”— শেষ কথাগুলো ফ্লিপকার্ট-এর কর্মীদের উদ্দেশে লেখেন সচিন। নিজের কিছু অসমাপ্ত কাজ (সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক) এ বার তিনি মন দিয়ে সারতে চান বলেও জানিয়েছেন। তাই লম্বা ছুটি নিলেন সচিন বনসল।