নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবারই কি কংগ্রেস ছাড়ছেন সচিন পাইলট! এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজস্থান রাজনীতিতে। সচিনকে নিয়ে চাপানউতরের মাঝে এ দিন ভোর রাতে জরুরি বৈঠক ডাকেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সচিন। এর জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, কংগ্রেস সরকার যে এখনও অটুট রয়েছে তা নিশ্চিত করে দল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজস্থানে সরকার পড়ে যাওয়া নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তা ফুত্কারে উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। রাজস্থান কংগ্রেসে দায়িত্বে থাকা অবিনাশ পাণ্ডে বলেন, “কাগজে সই দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন ১০৯ বিধায়ক। রাহুল গান্ধীজী, সোনিয়া গান্ধীজী এবং অশোক গেহলটের নেতৃত্বাধীন সরকার অটুট রয়েছে।”  সূত্রে খবর, সচিন পাইলটের হাতে রয়েছে কমপক্ষে ৩০ বিধায়ক। ওই সব বিধায়ক সমেত সচিন যদি বিজেপির দোরগড়ায় হাজির হয়, তা হলে কংগ্রেস সরকারের ভাঙন সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন- গ্রাজুয়েশন ডিগ্রির সঙ্গেই মেয়েদের দেওয়া হবে পাসপোর্ট, ঘোষণা খট্টরের


সূত্রে খবর, আজই বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে পারেন সচিন পাইলট। এরপরই কংগ্রেস ছাড়া সিদ্ধান্ত তিনি নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কোটি টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। যে অভিযোগ অস্বীকার করে এখন 'ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ' ভূমিকায় গেরুয়া শিবির। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতোই সচিন পাইলট পদ্মফুল হাতে তুলে নেবেন, সেটা এখন সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এ দিন ভোর রাতে ডাকা কংগ্রেসের জরুরি বৈঠকে সচিনের উপস্থিত না থাকা আরও জল্পনা বাড়িয়েছে বলে মত তাঁদের।  


উল্লেখ্য, ২০০ আসন বিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভার ১০৭ বিধায়ক রয়েছে কংগ্রেসের হাতে। বাইরে থেকে ১০ নির্দল বিধায়কের সমর্থনও রয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় লোক দল, সিপিএম, ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি-র ৫ বিধায়কও গেহলটের ঝুলিতে। পদ্মশিবিরের হাতে রয়েছে ৭৩ বিধায়ক।