ওয়েব ডেস্ক : ডেরা সচ্চা সওদার প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং-কে দোষী সাব্যস্ত করার পর থেকেই তার একের পর এক কুকীর্তি সামনে আসছে। ধর্ষক গুরমিতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সেখানকার সেবিকারা যে ছদ্ম পিরিয়ড হওয়ারও ভান করতেন, তাও প্রকাশ্যে এসেছে। এবার রাম রহিমকে নিয়ে আরও বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল এক সাধ্বীর মুখ থেকে। যা শুনলে রীতিমতো চমকে যাবেন আপনিও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইন্ডিয়া টিভির এক সাক্ষাত্কারে ডেরার এক সাধ্বী বলেন, রাম রহিম অত্যন্ত লোভি মানুষ। তিনি আরও দাবি করেন, প্রত্যেকদিন ৫-৬ ঘণ্টা অন্তর এক একজন নতুন মুখকে গোপন গুহায় ডেকে পাঠাত সে। পাশাপাশি এ পর্যন্ত গুরমিত নাকি কমপক্ষে ২ হাজার মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। 


ওই সাধ্বী আরও দাবি করেন, ডেরা সচ্চা সওদা প্রধানের বিলাসবহুল প্রাসদের মধ্যে যে ‘সেক্স কেভ’ ছিল, সেখানাকার জানলা খোলা রাখত রাম রহিম। এবং, ওই জানলা দিয়ে সে নজর রাখত ডেরার সাধ্বীদের উপর। ওই জানলায় নজর রেখেই এক এক সময় এক একজনকে পছন্দ করে গোপন গুহায় ডেকে নিত গুরমিত। 


ডেরা প্রধানের কুকীর্তি সম্পর্কে অনেক কিশোরী এবং যুবতীই নাকি তাঁদের বাবা-মাকে জানিয়েছেন। কিন্তু, রাম রহিমের উপর অত্যধিক ভক্তির জেরেই কেউ তাঁদের ওই সমস্ত কথা বিশ্বাস করতেন না। এই অভিযোগের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে, যিনি দেশের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীকে প্রথম চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন 'বাবার' কীর্তি। যাঁর অভিযোগের উপর ভিত্তি করে শুরু হয়েছিল রাম রহিমের বিরুদ্ধে মামলা।


পাশাপাশি নিজের মেয়ে দাবি করে হানিপ্রীতকে কীভাবে বিয়ে দিয়েছিল রাম রহিম, সে বিষয়েও নানা চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ওই সাধ্বী।  তিনি বলেন, আগে থেকে ছক কষেই হানিপ্রীতের বিয়ে দিয়েছিল গুরমিত। এরপর অত্যন্ত সুনিপুণভাবে হানিপ্রীতের সঙ্গে তাঁর স্বামী বিচ্ছেদ করিয়ে, কুকীর্তি শুরু করে ডেরা প্রধান।